Afghanistan vs South Africa

আফগানিস্তানের কাছে ভরাডুবি দক্ষিণ আফ্রিকার, ১০২ রানে শেষ মার্করামরা, ৬ উইকেটে জয়ী রশিদেরা

আফগানিস্তানের কাছে এক রকম আত্মসমপর্ণ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০২ রানেই শেষ হয়ে গেল তাদের ইনিংস। ৬ উইকেট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন রশিদেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫৪
Picture of Fazalhaq Farooqi

ফজলহক ফারুকির উচ্ছ্বাস। ছবি: আইসিসি।

আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে ব্যাটিং ভরাডুবি দক্ষিণ আফ্রিকার। শারজায় প্রথম এক দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩.৩ ওভারে ১০৬ রানেই শেষ হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রানার্সদের ইনিংস। জবাবে ২৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৭ রান করল আফগানিস্তান। ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেন আফগানেরা। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে কম রানের ইনিংস।

Advertisement

রশিদ খানদের বলের সামনে নাজেহাল দশা হল এডেন মার্করামদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও লাভ হল না। ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকে উইকেট হারাতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিয়মিত ব্যবধানে সাজঘরে ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। উইয়ান মুলডার ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না। মুলডার ৮৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস না খেললে দক্ষিণ আফ্রিকার হাল আরও খারাপ হত। সাত নম্বরে নেমে তিনি মারেন ৫টি চার এবং ১টি ছয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান বর্ন ফরটুইনের ১৬।

দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ফজলহক ফারুকি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে রেজা হেনড্রিকসকে (৯) বোল্ড করেন তিনি। অপর ওপেনার টনি ডে জ়োরজ়িকেও (১১) আউট করেন ফারুকি। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মার্করামও (২) তাঁর শিকার। আফগান বোলারদের দাপটে ৩৬ রানেই ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফারুকি ছাড়াও ভাল বল করলেন মহম্মদ ঘজ়ানফার এবং রশিদ খান। তাঁদের সামনে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করলেন ট্রিস্টান স্টাবস (শূন্য), কাইল ভারিনি (১০), জেসন স্মিথ (শূন্য), আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো (শূন্য), লুঙ্গি এনগিডিরা (শূন্য)। মুলডার এবং ফরটুইনের লড়াইয়ের সুবাদে ১০০ রানের গণ্ডি পেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ফারুকিই আফগানিস্তানের সফলতম বোলার। তিনি ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইল ফলকও স্পর্শ করলেন তিনি। ২০ রান খরচ করে ৩ উইকেট ঘজ়ানফারের। অভিজ্ঞ রশিদ ৩০ রানে ২ উইকেট নেন। ভাল বল করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন আফগানিস্তানের অন্য বোলারেরাও।

জয়ের জন্য ১০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না আফগানিস্তানের ব্যাটারেরাও। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ় (শূন্য)। এনগিডির বলে আউট হন তিনি। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা রহমত শাহও (৮)। আফগানিস্তানের অন্য ওপেনার রিয়াজ় হাসান ১৬ রান করতে খরচ করলেন ৩৫ বল। আউট হলেন ফরটুইনের বলে। রহমতকেও সাজঘরে ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার। চার নম্বরে নেমে দলকে ভরসা দিতে পারলেন না অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিও (১৬)। তাঁকে ফেরালেন মার্করাম। ৬০ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর আফগান ইনিংসের হাল ধরেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই এবং গুলবাদিন নাইব। ধীর ধীরে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন তাঁরা। ওমরজাই ৩৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ২টি ছক্কা। কঠিন পিচেও আগ্রাসী ব্যাটিং করলেন নাইব। তাঁর ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস এল ২৭ বলে। ৩টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে ২২ রানে ২ উইকেট নিলেন ফরটুইন। ৬ রানে ১ উইকেট এনগিডির। ২১ রান খরচ করে ১ উইকেট নিলেন মার্করাম।

আরও পড়ুন
Advertisement