বিরাট কোহলী। ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান ম্যাচে হারের পর নেটমাধ্যমে বিরাট কোহলীর মেয়ে ভামিকাকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে বুধবার হায়দরাবাদ থেকে পাকড়াও করল মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিনি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নাম রামনাগেশ আলিবাতিনি। হায়দরাবাদের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। এখন পিএইচ ডি করার জন্য চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এর আগে খাবার ডেলিভারির কাজও করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর নেটমাধ্যমে মহম্মদ শামির উদ্দেশে কুৎসিত আক্রমণ করা হয়। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে শামির পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন কোহলী। জানিয়েছিলেন, এটি মানবিক আচরণের সব থেকে নিচু স্তর। ধর্ম নিয়ে আক্রমণ কখনও তারা ড্রেসিংরুমের অন্দরে ঢুকতে দেবেন না।
এরপর সে দিন রাতেই কোহলীর মেয়েকে টুইটারে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ‘@ক্রিককেজিগার্ল’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে করা ওই টুইট প্রথমে মনে করা হয়েছিল কোনও পাকিস্তানির। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত তেলঙ্গানার বাসিন্দা। কারণ তাঁর প্রচুর টুইট তেলুগুতে রয়েছে। পাশাপাশি, টুইটারে নিয়মিত অতি দক্ষিণপন্থী পোস্ট করেন তিনি। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ বুধবার ওই ব্যক্তিকে আটক করে। তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।