মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: পিটিআই।
এখনও আগের মতোই ক্ষিপ্রতা রয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। বয়স বাড়লেও উইকেটের পিছনে এখনও আগের মতোই ভয়ঙ্কর তিনি। রবিবার সূর্যকুমার যাদবকে যে ভাবে ফেরালেন তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট, ধোনি আছেন ধোনিতেই।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ ছিল চেন্নাইয়ে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। দলকে ভরসা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল সূর্যের উপর। কিন্তু তিনি ২৬ বলে ২৯ রানের বেশি করতে পারেননি। নেপথ্যে ধোনি।
মুম্বইয়ের ইনিংসের ১১তম ওভারে বল করছিলেন নুর আহমেদ। আফগানিস্তানের স্পিনারের বলে ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন সূর্য। কিন্তু তিনি বলের নাগাল পাননি। উইকেটের পিছনে তৈরি ছিলেন ধোনি। বল হাতে আসার মাত্র ০.১২ সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে দেন উইকেট। যে সময় ধোনি স্টাম্প করেন, তত ক্ষণে সূর্যের ব্যাট স্পিন শেষ হয়নি। পা ক্রিজ়ে ঢোকানো তো অনেক দূর।
ধোনি স্টাম্পটি করার সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন রবি শাস্ত্রী। ২০১১ সালে ধোনির ছক্কা মেরে বিশ্বকাপ জয়ের সময়েও তিনি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। শাস্ত্রী রবিবার বলেন, “ভিড়ের মধ্যে পিছনে ধোনি থাকলে কেউ চাইবে না পকেট থেকে পার্স একটুও বেরিয়ে থাকুক।”
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক মার্ক বাউচার মনে করেন বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক ধোনি। বাউচার বলেন, “আমার কাছে ধোনি একটা অকল্পনীয় বিষয়। দুর্দান্ত মানুষ। অন্য ক্রিকেট না খেলে আইপিএলের জন্য নিজেকে যে ভাবে বাঁচিয়ে রাখছে ধোনি, সেটা শেখার মতো। আমার মনে হয় ও বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক। ওর হাত দুর্দান্ত। প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতা। মাথা এবং পা এখনও সক্রিয়। উইকেটের পিছনে সকলের চেয়ে আলাদা। ধোনিকে দেখে আমিও শিখি।”
উইকেটের পিছনে ধোনি আছেন বলেই স্টাম্প হওয়ার পর সূর্যকুমার আর দাঁড়াননি। তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই সাজঘরের দিকে হাঁটা লাগান তিনি। পিছন ফিরে তাকাননি। জানতেন ধোনি স্টাম্প করেছেন মানে আর কোনও কিছু দেখার প্রয়োজন নেই। বয়স বাড়লেও উইকেটরক্ষক ধোনি এখনও যে কোনও ব্যাটারের ত্রাস হয়েই রয়ে গিয়েছেন।