মণিকা বাত্রা। ছবি পিটিআই
কমনওয়েলথ গেমসে বিতর্ক ভারতের পিছু ছাড়ছে না। দিন দুয়েক আগেই গাড়িচালকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে আয়োজকদের তরফে সতর্কিত হয়েছিলেন ভারোত্তোলক দলের ম্যানেজার। এ বার সমস্যা তৈরি হল টেবিল টেনিসে। জানা গিয়েছে, দলগত ইভেন্টে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে যে ম্যাচে ভারতের মহিলা দল হেরেছে, সেখানে ছিলেন না কোচই। পুরুষ দলের কোচকে মহিলা দলের কোচিং করাতে দেখা গিয়েছে।
গত বার কমনওয়েলথে মহিলাদের বিভাগে সোনা জিতেছিল ভারত। এ বার তারা কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়ার মতো দুর্বল দেশের কাছে হেরে গিয়েছে। মালয়েশিয়ার মান এতটাই খারাপ যে, তাদের দলের অনেক খেলোয়াড় বিশ্বের ক্রমতালিকাতেই নেই! সেই দলের কাছে হারার পরেই বিতর্ক প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, মহিলা দলের কোচ অনিন্দিতা চক্রবর্তী মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন না। কোচিং করাতে দেখা যায় এস রমনকে, যিনি আদতে পুরুষ দলের কোচ। অনিন্দিতা কোথায় গেলেন, সেটা নিয়েই প্রশ্ন।
ভারতীয় টেবিল টেনিস সংস্থা এখন নির্বাসিত। সংস্থার দায়িত্বে থাকা প্রশাসকদের কমিটির (সিওএ) সদস্য এস ডি মুদগিল বলেছেন, “এমন ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। মহিলা দলের কোচেরই উচিত ছিল খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকা। আমি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দেখব।” টেবিল টেনিস দলের সঙ্গে বার্মিংহ্যামে যাওয়ার কথা ছিল মুদগিলের। খেলোয়াড়রা অনুরোধ করেছিলেন মনোবিদ গায়ত্রী বর্তককে সঙ্গে রাখার। তাঁকে জায়গা দিতেই ইংল্যান্ডে যাননি মুদগিল।
মালয়েশিয়ার কাছে হারার পর মণিকা বাত্রার নেতৃত্বাধীন দল সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথাই বলেনি। এ ধরনের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে যা বাধ্যতামূলক। কেন দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হারতে হল সেই প্রশ্নের উত্তরে রমন বলেছেন, “খুব হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হয়েছে। তবে আমাদের দলের কম্বিনেশন ভুগিয়েছে। একজন রক্ষণাত্মক খেলোয়াড়, একজন বাঁ হাতি এবং ডান হাতি নিয়ে খেলা বেশ কঠিন ছিল। লড়াই করেও হেরেছি আমরা।”
কমনওয়েলথে যাওয়ার আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলে না নেওয়ায় তিন জন খেলোয়াড় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন, দিয়া চিতালেকে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থার খবর, শিবিরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ফাটল তৈরি হয়েছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক ভাল নয়। দলের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “দলের পরিবেশ মোটেও ভাল নয়। মহিলা দলের কোচের উচিত ছিল ম্যাচের সময় হাজির থাকা। উনি খেলোয়াড়দের ব্যাপারে ভাল জানেন। জানি না রমনকে কেন কোচিং করাতে হল।”
প্রসঙ্গত, টোকিয়ো অলিম্পিক্সেও টেবিল টেনিস দলকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। তাঁর ব্যক্তিগত কোচকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় দলের তারকা খেলোয়াড় মণিকা বাত্রা জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের কোচিং নিতে অস্বীকার করেন। কমনওয়েলথকে মণিকা ব্যক্তিগত কোচকে নিয়েই এসেছেন।