পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ও চূনী গোস্বামী ফাইল চিত্র
ভারতীয় ফুটবলের দুই প্রয়াত কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চুনী গোস্বামীর মূর্তি প্রতিষ্ঠার দাবি উঠল। দাবি, কলকাতা ময়দানে তাঁদের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হোক। উদ্যোগী হোন ফুটবলপ্রেমীরা। রবিবার পিকে-র উপর একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ওই দাবি তোলেন মোহনবাগানের অন্যতম কর্মকর্তা দেবাশিস দত্ত। তখন, ঘটনাচক্রে, তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার। দেবব্রত জানান, তাঁরা ক্লাবের শতবর্ষে পিকে-র উপর একটি আর্কাইভ উন্মোচন করছেন।
উপলক্ষ ছিল পিকে-কে নিয়ে গৌতম ভট্টাচার্য এবং সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদিত বই ‘গুরু’-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। রবিবেলায় সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিকে-র প্রিয় শিষ্যদের কয়েকজন। ছিলেন ভাইচুং ভুটিয়া। যাঁর হাতে উদ্বোধন হল বইয়ের। ছিলেন সুভাষ ভৌমিক, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদীপ চৌধুরী, শ্যাম থাপা, শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অভিভূত শিষ্যেরা স্মৃতিচারণ করেন গুরুর। একবাক্যে জানান, কোচের চেয়েও পিকে বেশি ছিলেন ‘ম্যান ম্যানেজার’। স্মৃতিচারণ করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রণব রায়ও।
ইডেন গার্ডেন্সের ক্লাব হাউসে সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন। ছিলেন পরিচালক সুমন ঘোষ। তাঁরাও উদ্ভাসিত প্রদীপের আলোয়। এমনকি, সঞ্চালক আবির চট্টোপাধ্যায়ও। যিনি অনুষ্ঠান পরিচালনার ফাঁকে পড়ে শোনালেন প্রবীণ অভিনেতা তথা পিকে-র বন্ধু বিশ্বজিতের বার্তা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রায়া ভট্টাচার্য আবৃত্তি করলেন পিকে-র প্রিয় লাইন, ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা’। শ্রীকান্ত আচার্য শোনালেন পিকে-র প্রিয় গান।
‘গুরু’ বইটিতে রয়েছে পিকে-কে নিয়ে অজস্র লেখা। লিখেছেন তাঁর শিষ্যেরা। লিখেছেন সমসময়ের সাংবাদিকেরা। রয়েছে ‘মাস্টারমশাই’ পিকে-র অসংখ্য লেখাও।
প্রদীপ নেভেনি।