Chandrayaan-3 Update

চাঁদে দাঁড়িয়ে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ তুলে ফেলল প্রজ্ঞান! ইসরো প্রকাশ্যে আনল ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত

বুধবার সকালে চাঁদে একটি ছবি তুলেছে রোভার প্রজ্ঞানের ক্যামেরা। একে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ (ইমেজ অফ দ্য মিশন) তকমা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিটি উঠেছে রোভারের নেভিগেশন ক্যামেরাতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৩১
Pragyan Rover has taken picture of Lander Vikram in the Moon.

চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। —ফাইল চিত্র।

চাঁদে এক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলল চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। তার হাতে বাকি আরও এক সপ্তাহ। এর মাঝে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ উঠেছে প্রজ্ঞানের ক্যামেরায়। বুধবার টুইটে সেই ছবি প্রকাশ করেছে ইসরো। সেই ছবিতে আসলে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রম।

Advertisement

ইসরো টুইটে জানিয়েছে, বুধবার সকালেই বিক্রমের একটি ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান। একে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ (ইমেজ অফ দ্য মিশন) তকমা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিটি উঠেছে রোভারের নেভিগেশন ক্যামেরাতে।

ইসরো জানিয়েছে, এই নেভিগেশন ক্যামেরাটি বিশেষ ভাবে চন্দ্রযান-৩-এর জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই ক্যামেরা তৈরি হয়েছে ইলেকট্রো-অপটিক্স সিস্টেমের গবেষণাগারে।

প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় তোলা বিক্রমের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের অমসৃণ মাটিতে কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডারটি। ছবিটি বড় করে ইসরো দেখিয়েছে, ল্যান্ডারের নীচে চ্যাস্টে এবং ইলসা পেলোডদু’টিকেও দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর সময় অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে এই ছবিটি তোলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরো টুইট করে জানিয়েছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে সালফারের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। এ ছাড়াও মিলেছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের অস্তিত্ব। ইসরো জানিয়েছিল, হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে চাঁদের ওই অঞ্চলে। প্রজ্ঞানে রয়েছে লেজ়ার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেক্ট্রোস্কোপ (এলআইবিএস)। নমুনা সংগ্রহ করে তা লেজ়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করে এই প্রযুক্তি। এটিও ইলেকট্রো-অপটিক্স সিস্টেমের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে নেমেছিল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার। পরের দিন ভোরে ইসরো জানায়, ল্যান্ডারের পেট থেকে সফল ভাবে বেরিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। সেটি ঘুরে ঘুরে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ছ’চাকা বিশিষ্ট এই রোভারের গতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার মাত্র। ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস পর্যন্তই তার আয়ু। চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে আর এই যন্ত্র কাজ করবে না।

আরও পড়ুন
Advertisement