আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রোগবালাই জব্দ করতে মেথি বেশ উপকারী। ছবি: শাটারস্টক।
বাঙালির হেঁশেলে মেথির ব্যবহার কেবল ফোড়ন হিসাবেই। অনেকে আবার ওজন ঝরানোর আশায় মেথি ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। তবে ওইটুকুই। এই মশলায় যে আরও গুণ আছে, তা আমাদের অনেকেরই অজানা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রোগবালাই জব্দ করতে মেথি বেশ উপকারী। ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজের মতো অসংখ্য উপকারী উপাদান এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর মেথি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিারাময়, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে হাঁপানি সমস্যা কমাতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। রান্নায় মেথি দানা ব্যবহারের পাশাপাশি শীতকালে মেথি শাক দিয়েও বানিয়ে ফেলতে পারেন নানা রেসিপি।
মেথি পরোটা: সাধারণ পরোটা আর আলুর দম শীতে প্রায় প্রত্যেক বাঙালি বাড়িতেই হয়। তবে পরোটার ময়দার মধ্যে এ বার মেথি শাক কুচি, রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিয়ে বানিয়ে ফেলুন মেথি পরোটা। রসুনের চাটনি হোক বা কড়াইশুঁটি দিয়ে আলুর দম, শীতের সকালের জলখাবার জমে যাবে।
ডিম-মেথির ভুর্জি: মেথি শাকের স্বাদ খানিকটা তেতো হওয়ায় বাড়ির ছোটরা মোটেই তা খেতে চায় না। মেথি শাক দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ডিমের ভুর্জি। চেটেপুটে সাফ হবে খুদেদের প্লেট। এক কাপ মেথি শাক ভাল করে কুচিয়ে নিন। এ বার একটি বাটিতে ৫টি ডিম নুন ও গোলমরিচ দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এ বার প্যানে তেল দিয়ে জিরে ফোড়ন দিন। একে একে কাঁচা লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, টম্যাটো কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। নুন, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মেথি শাক দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে ফেটিয়ে রাখা ডিম দিয়ে ভুর্জি বানিয়ে নিন। পরোটা, রুটি কিংবা পাউরুটির সঙ্গে দারুণ জমবে এই পদ!
মেথি মুঠিয়া: সন্ধ্যায় পেটে টান পড়লে কী খাবেন ভেবেই নাজেহাল হতে হয়! বানিয়ে ফেলতে পারেন মেথি মুঠিয়া। এক কাপ বেসন, আধ কাপ ময়দা, কুচোনো মেথি শাক, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, নুন দিয়ে মেখে নিন। এ বার মণ্ডের গায়ে ভাল করে তেল লাগিয়ে নিন। মিনিট ১৫ পর ছোট ছোট লেচি কেটে মুঠিয়ার আকারে গড়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিতে পারেন মেথি মুঠিয়া।