কিছু সব্জি আর চিকেন দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই স্যুপ তৈরি হয়ে যায় না। ছবি: সংগৃহীত
ঠান্ডা পড়তেই সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই রয়েছে। সর্দি কমছে তো গলাব্যথা ভোগাচ্ছে। একটার পর একটা লেগেই রয়েছে। এতে ব্যঘাত ঘটছে কাজেরও। তার উপর ঠান্ডা লাগলে মুখে অরুচি তৈরি হয়। কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না। গলাব্যথা হলে তো কথাই নেই, শক্ত খাবার খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন তরল স্যুপ জাতীয় কোনও খাবারই একমাত্র ভরসা। এই সময়ে শরীরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি স্বাদেরও নজর দেওয়া জরুরি। স্যুপ বানানো খুব সহজ নয়। কিছু সব্জি আর চিকেন দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই স্যুপ তৈরি হয়ে যায় না। স্যুপ হওয়া চাই ঘন। আর এটাই অনেকে করে উঠতে পারেন না। রেস্তরাঁ বা কফিশপে দেওয়া স্যুপ বেশ ঘন হয়। সে জন্য খেতে ভাল লাগে, আবার পেটও ভর্তি থাকে অনেক ক্ষণ। স্যুপ ঘন করার কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। সেগুলি মেনে চললে স্যুপ বানিয়েই মন জয় করে নিতে পারেন।
দই
গলাব্যথায় কথা বন্ধ। কোনও কিছু খেতে পারছেন না। অগত্যা পেট ভরাতে স্যুপই ভরসা। হেঁশেলে গিয়ে দেখলেন টম্যাটো রয়েছে। কিছুটা পালংশাকও রয়েছে। পছন্দমতো কোনও একটি জিনিস দিয়ে স্যুপ বানিয়ে নিতে পারেন। বানানোর পর যদি দেখেন একেবারে জলের মতো টলটলে স্যুপ তৈরি হয়েছে, তা হলে চিন্তা না করে তাতে মিশিয়ে নিন টক দই। স্যুপের স্বাদই বদলে যাবে। ঘনও হবে।
কর্নফ্লাওয়ার
পাতলা স্যুপের স্বাদ খুব একটা ভাল নয়। বেশি ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে না। রান্নার সময়ে বিভিন্ন কারণে স্যুপ অত্যধিক পাতলা হয়ে যায়। পাতলা স্যুপ ঘন করতে ভরসা রাখতে পারেন কর্নফ্লাওয়ারের উপর। স্যুপ তৈরির পর তাতে পরিমাণ মতো মিশিয়ে দিলেই ঘন হবে।
গলানো মাখন
স্যুপের স্বাদ বাড়াতে এমনিতেই মাখনের জুড়ি মেলা ভার। তার উপর মাখন স্যুপের ঘনত্ব বাড়াতেও দারুণ কার্যকর। ঘন স্যুপ খেতে পছন্দ করলে বেশ খানিকটা মাখন মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে ফ্রিজ থেকে বার করেই মাখন স্যুপের মধ্যে দিয়ে দিলে চলবে না। দেওয়ার আগে মাখন ভাল করে গলিয়ে নিন।
ভাত
পাতলা স্যুপ মুহূর্তে ঘন করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন ভাত। এতে স্যুপের আসল স্বাদের কোনও বদল ঘটবে না। আবার এই স্যুপটি খেলে পেটও দীর্ঘ ক্ষণ ভরতি থাকবে। তবে স্যুপে ভাত দেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। স্যুপে দেওয়ার আগে ভাতগুলি মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তার পর ভাতের সেই মিশ্রণটি স্যুপে দিয়ে দিন।