ক্রিম দেওয়া কোফতা দেখলেই জিভে জল! ছবি: সংগৃহীত।
ঘন, ক্রিম দেওয়া গা-মাখা ঝোল। তার মধ্যে লোভনীয় কোফতা। মালাই কোফতা দেখলেই অনেকের জিভে জল আসে। মাখন, ক্রিম, দুধের মিশ্রণে কোফতার যে ঘন ঝোল, মুখে পুরলেই মন ভরে যায়। কিন্তু স্বাদের কথা ভাবতে গেলে, অন্যায় হয় স্বাস্থ্যের সঙ্গে। কারণ, তেল, মশলা, ক্রিমের এই ঝোলে থাকে প্রচুর ক্যালোরি। বিশেষত রোগা হওয়ার জন্য যাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এ খাবার পুরো পরিশ্রমে জল ঢেলে দেওয়ার জন্য আদর্শ। তবে কি স্বাস্থ্য সচেতন হলে মালাই কোফতা পাত থেকে বাদ দিতে হবে? বদলে কয়েকটি টোটকা অনুসরণ করতে পারেন। এতে কোফতার ক্যালোরি বাড়বে না, খাওয়া যাবে মন ভরে।
১. প্রথমেই মালাই কোফতার জন্য ফ্যাটযুক্ত পনির বাদ দিতে হবে। বদলে কম ফ্যাটের পনির বেছে নেওয়া প্রয়োজন। বাজারচলতি পনিরের বদলে ঘরেই কম ফ্যাটযুক্ত দুধ কাটিয়ে ছানা করে নিতে পারেন। সেই ছানা দিয়েও কোফতা বানিয়ে নিতে পারেন।
২. কোফতা বানানোর সময় ছানার সঙ্গে ঝিরিঝিরি করে কেটে নেওয়া গাজর, ক্যাপসিকাম, সেদ্ধ করা পালং শাক, সুইট কর্ন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ছানার সঙ্গে বাড়তি পুষ্টিগুণ যুক্ত হবে। চাইলে ছানার বদলে বিভিন্ন সব্জি দিয়েও কোফতা করা যেতে পারে।
৩. ডুবো তেলে না ভেজে, কোফতা এয়ার ফ্রায়ারে সেঁকে নিতে পারেন। কিংবা কড়াইতে খুব কম তেলে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিতে হবে।
৪. মাখন, কাজুবাদাম, ক্রিম, দুধের মিশ্রণে কোফতার ঝোল খেতে অবশ্যই সুস্বাদু হয়। একই সঙ্গে তাতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তাই ক্রিম বাদ দিতে হবে। বদলে টক দই, টম্যাটো, পেঁয়াজ, চারমগজ, কাজুবাদাম ব্যবহার করে ঝোল বানিয়ে নিতে পারেন।
৫. কোফতার সঙ্গে সাধারণত ভাত বা রুটি খাওয়া হয়। এর সঙ্গে অনেকটা পরিমাণ স্যালাড নিতে পারেন। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে স্যালাড দিয়ে পেট ভরালে কম শর্করা শরীরে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।