নিরামিষ পাঁঠার মাংসের স্বাদ বাড়বে কিসে? ছবি: শাটারস্টক।
পাঁঠার মাংস ছাড়া কালীপুজোর খাওয়াদাওয়া যেন অসম্পূর্ণ। আগে কালীপুজোয় পাঁঠা বলি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। এখন অনেকেই সে সব পাট চুকিয়ে দিয়েছেন। তবু পোলাও-মাংস ছাড়া কালীপুজোর মেনু যেন ভাবাই যায় না। কালীপুজোর ভোগের মাংসতে কিন্তু পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবহারের চলে না। একে বলে নিরামিষ মাংস। বাড়িতে পুজো না হলেও কালীপুজোর দিন ভিন্ন স্বাদের এই মাংস দিয়েই সারতে পারেন ভূরিভোজ। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: ১ কেজি
গোটা ধনে: ২ টেবিল চামচ
গোটা জিরে: ১ টেবিল চামচ
গোটা গরম মশলা: ৫ গ্রাম
গোটা শুকনো লঙ্কা: ৮-১০টি
আদা বাটা: ২ টেবিল চামচ
লঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ
চেরা কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি
দই: ১ কাপ
হিং: আধ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৬-৭ টেবিল চামচ
ঘি: ১ চা চামচ
নুন ও চিনি: স্বাদ মতো
তেজপাতা: ২টি
প্রণালী:
গোটা ধনে, জিরে আর শুকনো লঙ্কা কিছু ক্ষণ ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রেখে মিক্সিতে বেটে নিন। গোটা গরম মশলাও বেটে নিন। এ বার মাংসে নুন মাখিয়ে ভাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার ওই তেলে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা আর হিং ফোড়ন দিয়ে একে এক আদা বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, ধনে-জিরে-শুকনো লঙ্কা বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। হলুদ গুঁড়ো, নুন, গরমমশলা বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে মাংস দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। মিনিট ১৫ পর ফেটিয়ে রাখা দই দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। আরও কিছু ক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। তার পর ঢাকা খুলে গরম জল দিয়ে আবার ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শেষে ঘি, গরম মশলা বাটা, চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে মিনিট পাঁচেক পর গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন নিরামিষ পাঁঠার মাংস। হিং, বাটা মশলা আর ঘিয়ের গন্ধেই নিরামিষ পাঁঠার মাংসের স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।