মুরগি নয়, দুপুরের ভোজে বানিয়ে ফেলুন মাছের রেজ়ালা। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি বাজারে গেলেই থলিতে আর কিছু থাকুক বা নাই থাকুক, রুই-কাতলা থাকবেই থাকবে। ওই দুই মাছ ছাড়া বাঙালির একেবারেই চলে না। তবে কাতলা দিয়ে হয় জিরে বাটা দিয়ে ঝোল আর না হয় দই মাছ। রোজ একই স্বাদের মাছ খেতে বড্ড একঘেয়ে লাগে কখনও সখনও। ওই মাছ দিয়ে নতুন কী পদ বানানো যায় ভাবছেন? রেস্তরাঁয় গেলে মুরগির রেজ়ালার সঙ্গে রুটি তো অনেক খেয়েছেন, তবে মাছের রেজ়ালা কি খেয়েছেন কখনও? বানিয়ে ফেলুন কাতলার রেজ়ালা, রইল রেসিপির হদিস।
উপকরণ:
৬-৭ টুকরো কাতলা মাছ
৫ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা
দেড় টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
৫ গ্রাম গোটা গরম মশলা
৩ টেবিল চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা
৩ টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা
১ কাপ টক দই
৫০ গ্রাম খোয়া
২ টেবিল চামচ ক্রিম
৫-৬ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ কেওড়া জল
২ ফোঁটা মিষ্টি আতর
স্বাদমতো নুন, চিনি
প্রণালী:
মাছের টুকরোগুলো ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। আদা-রসুন বাটা ভাল করে চিপে নিয়ে রস সরিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ, কাজুবাদাম আলাদা আলাদা করে বেটে নিন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে মাছের টুকরোগুলো সামান্য নুন দিয়ে হালকা করে ভেজে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার ওই তেলের মধ্যে সামান্য ঘি দিয়ে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। তার পর পেঁয়াজ বাটা ও রসুন-আদার রস দিন। মশলার জল শুকিয়ে কাঁচালঙ্কা বাটা, ধনেগুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিন। এর পর কাজুবাদাম বাটা ও দই দিয়ে ২-৩ মিনিট ভাজুন। খেয়াল রাখবেন মশলা যেন বাদামি না হয়ে যায়। এ বার কড়াইতে জল দিয়ে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে মাছের টুকরোগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। কিছু ক্ষণ হালকা আঁচে রেখে কেওড়া জল, মিষ্টি আতর ও খোয়া দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। সব শেষে গ্যাস বন্ধ করে ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন কাতলার রেজ়ালা। গরমাগরম ভাতের সঙ্গে জমে যাবে মাছের এই পদ।