রহমানের স্ত্রী সায়রা আসলে কে? ছবি: সংগৃহীত।
খ্যাতনামী স্বামীর নামের ভারে অনেক সময়েই চাপা পড়ে যান স্ত্রীরা। সেই নিয়ে অস্তিত্ব সংঙ্কটে ভুগতে হয় তারকা পত্নীদের। ফলাফল, শেষ সিদ্ধান্ত বিবাহবিচ্ছেদ। এমন ঘটনা বলিউডে আকছার। যদিও এআর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানুর দাম্পত্য জীবনে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ প্রথম থেকেই সুরকারের শর্ত মেনেই বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলেন তিনি।
রহমান দক্ষিণ ভারতের মুসলিম পরিবারের ছেলে। সায়রা অবশ্য গুজরাতের কচ্ছের মেয়ে। ১৯৭৩ সালে জন্ম সায়রার। তাঁদের বয়সের ফারাক সাত বছর। রহমানের ২৮তম জন্মদিনে দেখা হয়েছিল তাঁদের। পাত্রী খোঁজার সময় ছিল না রহমানের। মা ও বোনের মাধ্যমে আলাপ হয় সায়রার সঙ্গে। দরগায় আলাপ পর্ব সারেন। তার পর মাস কয়েক ফোনে কথোপকথন। সেখান থেকে সোজা বিয়ে। গুজরাতের উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে সায়রা। সাংস্কৃতিক মনস্ক পরিবারেই বেড়ে উঠেছেন। মিতভাষী সুন্দরী সায়রাকে দেখামাত্র রাজি হয়ে যান রহমান।
কিন্তু সায়রা গুজরাতের মেয়ে হওয়ায় বরাবরই সেখানকার স্থানীয় ভাষায় কথা বলতেন। তাতেই নাকি আপত্তি ছিল রহমানের। বিয়ের আগে সায়রাকে শর্ত দেন, তাঁর সঙ্গে বিয়ে করতে হলে ইংরেজিতেই কথা বলতে হবে। শর্ত মেনে নেন সায়রাও। স্বামীর সঙ্গীত জীবনের ওঠাপড়া সবেতেই যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন তিনি। তবে নরম মনের মানুষ সায়রা দানধ্যান করতেন প্রচুর। সুগন্ধীর উপর তাঁর বিশেষ শখ। শেষ বার দম্পতি হিসাবে তাঁদের দেখা গিয়েছিল অম্বানীদের বিয়েতে। তার মাস কয়েকের মধ্যে সম্পর্কের এমন পরিণতি হবে তা অনুমান করতে পারেননি তাঁদের অনুরাগীরাও।