ঝাল কিংবা কালিয়া নয়, জামাইয়ের পাতে রাখতে পারেন কাতলার মধুক্ষীরা। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক বাড়িতেই জামাইষষ্ঠী পালন করার চল নেই। আবার, ষষ্ঠীর নিয়ম-কানুন থাকলেও এই সমস্ত উপচারে বিশ্বাস করেন না নতুন প্রজন্মের জামাইয়েরা। তবে, উপলক্ষ যা-ই হোক না কেন, ভূরিভোজের বেলায় সকলেই রাজি। বিশেষ দিনটিতে না হলেও ছুটি দেখে রীতিমতো পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া চলে। ভাজাভুজি, ডাল, শুক্তো, মাছ, মাংসের নানা রকম পদে সাজানো আয়োজন কি হাতছাড়া করা যায়? প্রতি বছরই তো কাতলা মাছের কালিয়া রাঁধেন, এ বছর যদি তার বদলে অন্য কিছু রাঁধতে মন চায়, তা হলে রেঁধে ফেলতে পারেন কাতলা মাছের মধুক্ষীরা। রইল প্রণালী।
উপকরণ
৫-৬ টুকরো কাতলা মাছ
১ কাপ সর্ষের তেল
স্বাদ অনুযায়ী নুন
১ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ
১ টেবিল চামচ চারমগজ
৮-১০টি কাঠবাদাম
৮-১০টি কিশমিশ
নারকেলের কয়েকটি টুকরো
আধ কাপ টম্যাটো কুচি
২ টেবিল চামচ রসুন বাটা
১ টেবিল চামচ আদা বাটা
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা
৩-৪টি কাঁচা লঙ্কা
৩ টেবিল চামচ মধু
১ কাপ নারকেলের দুধ
প্রণালী
মাছ ধুয়ে প্রথমে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে।
কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হলে তার মধ্যে নুন, হলুদ মাখানো মাছগুলো ভেজে তুলে রাখুন।
মিক্সিতে নারকেলের টুকরো, ভেজানো কাঠবাদাম, চারমগজ, কিশমিশ এবং টম্যোটো এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মিহি করে বেটে নিন।
এ বার কড়াইতে আরও একটু তেল দিয়ে তার মধ্যে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজ-রসুন-আদা বাটা।
সামান্য ভাজা হলে বাদাম, নারকেল, চারমগজ, টম্যাটোর পেস্ট দিয়ে দিন। ভাল করে কষাতে থাকুন। তার মধ্যে দিয়ে দিন নুন, সামান্য হলুদ এবং মধু।
মশলা কষানো হয়ে গেলে নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ ফুটতে দিতে হবে।
ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিন তার মধ্যে। মাখো মাখো হলে নামিয়ে নিন। প্লেটে সাজিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।