মরসুম বদলের সময়ে, বিশেষ করে
বসন্তকালে ভাইরাসঘটিত নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। গেরস্তবাড়িতে তাই সজনে ফুলের
নানা রকম পদ রেঁধে খাওয়া হয় এই সময়ে। খেতে একটু কষাটে, তাই সহজে সকলে খেতে চান না।
তবে জুত করে রাঁধতে পারলে সজনে ফুলই খেতে লাগে অমৃতের মতো। সজনে ফুল দিয়ে বড়া,
চচ্চড়ি, ভাজা খাওয়ার চলই বেশি। তবে চাইলে তা দিয়ে ভর্তাও বানিয়ে ফেলতে পারেন। রইল
প্রণালী।
উপকরণ:
২ কাপ সজনে ফুল
আধ কাপ নারকেল কোরা
২ টেবিল চামচ পোস্তবাটা
১ টেবিল চামচ সর্ষেবাটা
আধ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
আধ চা চামচ কালোজিরে
স্বাদ অনুযায়ী নুন
সামান্য চিনি
২টি কাঁচালঙ্কা
৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
প্রণালী:
- প্রথমে সজনে ফুল ভাল
করে বেছে, জলে ধুয়ে নিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য নুন দিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য
ভিজিয়ে রাখুন।
- জল থেকে ফুলগুলো
তুলে পরিষ্কার একটি ঝুড়ির মধ্যে রেখে দিন। সহজে জল ঝরে যাবে।
- এ বার কড়াইয়ে সর্ষের
তেল গরম হতে দিন। এর পর কালোজিরে এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন।
- একটু নাড়াচাড়া করে
জল ঝরানো ফুলগুলি দিয়ে দিন কড়াইয়ে। ভাল করে নাড়াচাড়া করতে থাকুন।
- এক চিমটে হলুদ এবং
নুন দিয়ে দিন এই সময়ে। নুন দেওয়া মাত্রই
সজনে ফুল থেকে জল বেরোতে শুরু করবে।
- মিনিট দুয়েকের জন্য
কড়াই ঢাকা দিয়ে রাখুন। ফুলের জলেই ফুল সেদ্ধ হবে। আবার মাঝেমধ্যে ঢাকা খুলে দেখে
নিতে হবে ফুলগুলো একেবারে গলে যেন না যায়।
- এ বার ঢাকা খুলে
কুরিয়ে রাখা নারকেলটা কড়াইয়ে দিয়ে দিন। ফুলের সঙ্গে নারকেল কোরা মিশে গেলে তার
মধ্যে পোস্ত এবং সর্ষেবাটা দিয়ে দিন।
- ভাল করে নাড়াচাড়া
করে দিয়ে দিন সামান্য একটু চিনি। উপর থেকে কয়েকটি কাঁচালঙ্কা চিরে ছড়িয়ে দিন।
- নামানোর আগে উপর
থেকে অল্প একটু সর্ষের তেল আর নারকেল কোরা ছড়িয়ে নিলেই কাজ শেষ।