বাঙালির চেনা শুক্তোর পুষ্টিগুণ কম নয়। ছবি: উমি’জ় কিচেন।
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধের মতো এই বসন্ত বাতাসে কিন্তু নানা ধরনের রোগবালাইও উড়ে আসে। তাই এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এমন খাবার পাতে রাখতে হবে। মরসুম বদলের এই সময়টায় পেটের রোগের প্রকোপও বাড়ে। আর পেটের ব্যামো সারানোর ঘরোয়া টোটকা মানেই থানকুনিপাতা দিয়ে রাঁধা ট্যালটেলে ঝোল।
তা কেন? বাঙালির সেই চেনা শুক্তো, তার পুষ্টিগুণও তো কম নয়। এমনিতে এই সময়ে তেতো সব্জিও খেতে বলা হয়। তা উচ্ছে আর থানকুনিপাতা দিয়ে যদি শুক্তোই রাঁধেন, তাতে ক্ষতি তো বিশেষ হবে না। বরং স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দু’দিকই বজায় থাকবে। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
১ আঁটি থানকুনিপাতা
৪-৫টি উচ্ছে
১টি আলু
১টি রাঙালু
১টি বেগুন
অর্ধেকটা পেঁপে
১টি কাঁচকলা
৮-১০টি বিন্স
১টি কাঁচকলা
৫-৬টি বড়ি
১ কাপ দুধ
১টি তেজপাতা
আধ চা চামচ পাঁচফোড়ন
৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
৫-৬টি মটরডালের বড়ি
আধ চা চামচ আদাবাটা
১ টেবিল চামচ পোস্ত-সর্ষেবাটা
১ চা চামচ রাঁধুনিবাটা
স্বাদমতো নুন, চিনি
প্রণালী:
· কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে প্রথমে বড়িগুলো লালচে করে ভেজে নিন।
· ওই তেলেই লম্বা লম্বা করে কাটা আলু, বেগুন, পেঁপে, কাঁচকলা, রাঙালু ছেড়ে দিন। ডাঁটার টুকরো দিয়ে অল্প ভেজে তুলে রাখুন।
· কড়াইয়ে আরও একটু তেল দিন। তার মধ্যে তেজপাতা, অল্প একটু শুকনো লঙ্কা, পাঁচফোড়ন এবং সামান্য রাঁধুনি দিন।
· সামান্য নাড়াচাড়া করে তার মধ্যে ভেজে রাখা সব্জিগুলো এক এক করে দিতে শুরু করুন। এ বার পরিমাণ মতো জল এবং দুধ দিয়ে ঢাকা দিন।
· আনাজ সেদ্ধ হয়ে এলে নুন, চিনি, রাঁধুনি, সর্ষে-পোস্তবাটা, আদাবাটা, ভাজা বড়ি এবং থানকুনিপাতা দিয়ে ফুটতে দিন।
· চাইলে উপর থেকে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন। ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।