Indian dishes which are not so Indian

ডাল-ভাত হোক বা শিঙাড়া, ভারতীয় মনে হলেও এই সব পদ আদতে ভারতের নয়! তালিকাটি বেশ বড়

যে হেতু ভারতীয় উপমহাদেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিদেশি শক্তির অধীনে ছিল, তাই তাদের বেশ কিছু পদ আমাদের দেশে এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, অনেকেই এই খাবারগুলিকে ভারতীয় বলে ভুল করেন। কী কী পদ রয়েছে এই তালিকায়?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২২ ২০:০৫
ভারতীয় মনে হলেও এই পদগুলি আদৌ ভারতীয় নয়!

ভারতীয় মনে হলেও এই পদগুলি আদৌ ভারতীয় নয়! প্রতিকী ছবি

ভারতীয় খাবারের প্রশংসা বিশ্ব জুড়ে। আপনি কি জানেন যে, ‘ভারতীয় পদ’ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত কিছু খাবার আদৌ ভারতীয় নয়? সবই এসেছে অন্য কোনও দেশ থেকে। কর্ম ও বাণিজ্য সূত্রে বিভিন্ন দেশের মানুষ ভারতে এসে বসতি স্থাপন করেন। ফলে ভারতীয় খাবারে সেই সব দেশের ছোঁয়া রয়েছে। তা ছাড়াও, যে হেতু ভারতীয় উপমহাদেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিদেশি শক্তির অধীনে ছিল, তাই তাদের বেশ কিছু খাবার আমাদের দেশে এখন এতটাই জনপ্রিয় যে অনেকেই এই খাবারগুলিকে ভারতীয় বলে ভুল করেন।

ডাল-ভাত: বাঙালির রোজকার ডাল-ভাত খাওয়ার রেওয়াজটুকুও আদতে ভারতীয় নয়! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে নেপালের দক্ষিণাংশ থেকে এই খাদ্যাভ্যাস ঢুকে পড়তে থাকে ভারতে। ভাত-ডালের এই ধারণা তাই নেপালের বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

জিলিপি: সকালে কচুরি, তরকারি আর সঙ্গে একটা জিলিপি— ভারতীয়দের কাছে এই জলখাবারটি বেশ প্রিয়। জানেন কি এই জিলিপির আবির্ভাব আসলে মধ্যপ্রাচ্যে? আরবের প্রচলিত ‘জালেবিয়া’-ই এখন ভারতের প্রায় প্রতিটি মিষ্টির দোকানে বেশ চাহিদার।

বিরিয়ানি ভারতীয়দের বড়ই প্রিয়।

বিরিয়ানি ভারতীয়দের বড়ই প্রিয়। ছবি: শাটারস্টক

গুলাব জামুন: এই মিষ্টির জন্মও কিন্তু পারস্যে। ফার্সি শব্দে ‘গুল’ কথার অর্থ হল ফুল এবং ‘আব’ কথার অর্থ হল জল। আসল ফার্সি খাবারটি ‘লুকমাত আল কাদি’ নামে পরিচিত ছিল যা ক্ষীর দিয়ে বানানো ছোট ছোট গোল্লাগুলিকে মধুর শরবতে ভিজিয়ে তৈরি করা হত। তার পর চিনি ছড়িয়ে এগুলি পরিবেশন করা হত।

বিরিয়ানি: বাঙালির প্রিয় খাদ্যের তালিকায় এক নম্বরে বিরিয়ানি! কেবল বাংলায় নয়, বিরিয়ানির জনপ্রিয়তা গোটা দেশ জুড়ে। এই বিরিয়ানি কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য বা পারস্যের খাবার। ফারসি ভাষায় ‘বিরিয়ান’ শব্দের অর্থ রোস্ট কিংবা ভাজা। মাংসের সঙ্গে নানা রকম মশলা মাখিয়ে চালের সঙ্গে এই পদটি বানানো হয়। অতীতে উটের মাংসে তৈরি হত পারসিক বিরিয়ানি।

শিঙাড়া: শিঙাড়ার জন্ম হয়েছে পারস্যে। পারস্যে এই পদটির নাম ছিল ‘সানবুসাক’। সুফি কবি সঙ্গীতজ্ঞ, দার্শনিক আমির খসরুর সময়ে দিল্লিতে আবির্ভাব হয় এই সানবুসাকের। সেই সময় ময়দার তিনকোনা ভাঁজে থাকত মাংস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাংসের পরিবর্তে আলুর পুর দিয়ে দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জনপ্রিয় হয় এটি। ভারতীয়রা এর নামকরণ করে ‘সামোসা’। বাঙালির কাছে এই সামোসাই আবার শিঙাড়া নামে পরিচিত। বাংলাদেশে অবশ্য সেই তিনকোনা চ্যাপ্টা মাংসের পুর ভরা শিঙাড়া আজও জনপ্রিয়। তার নাম সেখানে ‘সামোচা’। পাশাপাশি সে দেশে আলুর পুর ভরা শিঙাড়াও পাল্লা দেয় যে কোনও জমজমাট জলখাবারের পদের সঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement