গুড় দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নানা রকম পদ। ছবি:ফ্রিপিক।
শীত মানেই গুড়ের রকমারি পদ। নলেন গুড়ের রসগোল্লা থেকে পাটিসাপটা, পিঠেপুলি খাওয়ার এই তো সময়। কিন্তু মিষ্টি মানেই হু-হু করে বাড়বে ক্যালোরি। তা হলে উপায়? স্বাস্থ্যসচেতন হলে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বানিয়ে নিতে পারেন মিষ্টির ভিন্ন পদ। শর্করা থাকলেও গুড়ের গুণ কম নয়। এতে থাকে জ়িঙ্ক, আয়রনের মতো খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
নলেনগুড়ের শ্রীখণ্ড
টক দই বা ইয়োর্গাট দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে শ্রীখণ্ড। পরিষ্কার সাদা সুতির কাপড়ে দই ঢেলে সেটি পুঁটলি পাকিয়ে নিন। দইয়ের মধ্যে থাকা সমস্ত জল বার করে দিতে হবে। ৪-৫ ঘণ্টা ওই ভাবে কাপড়ের পুঁটলি ঝুলিয়ে রাখলে অতিরিক্ত জল ঝরে যাবে। তার পর ওই পুঁটলিতে চাপ দিয়ে অবশিষ্ট জলটুকুও বার করে দিতে হবে। একটি পাত্রে জল ঝরানো দই নিয়ে তাতে সামান্য ছোটএলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। তার পর নলেন গুড় মিশিয়ে খুব ভাল ভাবে ফেটিয়ে নিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন পেস্তা বাদামের কুচি। তা হলেই তৈরি নলেনগুড়ের শ্রীখণ্ড।
গুড়ের পুডিং
একটি পাত্রে গুড় নিয়ে তাতে সামান্য জল দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। গুড় ঘন এবং লালচে হয়ে গেলে নামিয়ে যে পাত্রে পুডিং বানাবেন, তাতে ঢেলে নিন। এ বার একটি পাত্রে ডিম, গ্রেট করা পাটালি এবং ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে ঘরের তাপমাত্রায় রাখা দুধ যোগ করুন। সমগ্র মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। আগে থেকে রাখা ক্যারামেল করা গুড়ের মিশ্রণের উপর তা ঢেলে দিন। এ বার একটি বড় পাত্রে জল নিয়ে ডিমের মিশ্রণের পাত্রের মুখটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে আটকে ভাপিয়ে নিন। তার পর ঠান্ডা করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পুডিং।
গুড় মাখানা
কড়াইয়ে ঘি দিয়ে মাখানা ভেজে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, মাখানা যেন পুড়ে না যায়। সেটি মুচমচে হয়ে এলে উপর থেকে গ্রেট করা পাটালি ছড়িয়ে দিন। তাপে গুড় গলে গিয়ে মাখানার গায়ে লেগে যাবে। সবশেষে ছড়িয়ে দিন একটু সাদা তিল। গুড়ের আস্তরণে ঢাকা মাখানা ঠান্ডা করে কৌটোয় ভরে রাখা যায়। যে কোনও সময়েই এই পদটি খাওয়া যাবে।