বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় থেকে তিনি ফর্মে নেই। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ইনিংসে করেছিলেন অর্ধশতরান। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রান করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর বলার মতো স্কোর নেই তাঁর।
শেষ ১৫টি টেস্ট ইনিংসের ১০টিতে দু’অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারেননি। ব্যর্থ অধিনায়ককে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনি টেস্টে নেমেছিল ভারত। তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বলে জল্পনাও তৈরি হয়।
কিন্তু তিনি, রোহিত শর্মা, সিডনি টেস্টের মাঝে বলে দেন, এখনই লালা বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর।
দিন কয়েক আগে মুম্বইয়ের ঘরোয়া দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেন রোহিত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার দিন জানিয়ে দেন মুম্বইয়ের হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
সেইমতো বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে নামেন তিনি। ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে শেষ বার তাঁকে রঞ্জি খেলতে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, ১০ বছর পর আবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেখা গেল হিটম্যানকে।
একই সঙ্গে অন্য একটি রেকর্ডও করলেন তিনি। ১৭ বছর পর কোনও ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক রঞ্জি খেললেন। ১৭ বছর আগে এই রেকর্ড ছিল অনিল কুম্বলের। ২০০৭ সালে কর্নাটকের হয়ে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি খেলেছিলেন কুম্বলে।
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ভারত অধিনায়কের প্রত্যাবর্তন সুখকর হল না। মাত্র ৩ রান করে অনামি বোলারের হাতে আউট হলেন রোহিত।
মুম্বইয়ের শরদ পওয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে কিন্তু তাড়াহুড়ো করে শুরু করেননি রোহিত। কিন্তু অনামি উমরান নাজ়িরের বল ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ ওঠে। প্রায় একই ভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আউট হয়েছিলেন রোহিত।
১০ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে নেমে আউট হওয়ার আগে ১৯ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেন রোহিত শর্মা।
তবে প্রত্যাবর্তনে রান না পেলেও রঞ্জিতে রোহিত শর্মার রেকর্ড কিন্তু বেশ ভাল।
২০০৬-০৭ মরসুমে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতে অভিষেক হয় রোহিতের। রঞ্জিতে এখনও পর্যন্ত ৪২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
প্রথম মরসুমে ৪৮.০৭ গড়ে ৫৩১ রান করেন রোহিত। প্রথম মরসুমে একটি শতরানও করেন তিনি।
তবে রঞ্জিতে রোহিতের সেরা ফর্ম ছিল ২০১০-১১ মরসুম। সে বার দু’টি শতরান-সহ ছ’টি ম্যাচে ৭৩২ রান করেন রোহিত। গড় ছিল ১২২।
সব মিলিয়ে রঞ্জিতে ৪২টি ম্যাচে ১৪টি শতরান করেছেন হিটম্যান। তাঁর ব্যাটিং গড় ৭২.০৭। মোট রান ৩৮৯২।
সব ছবি: সংগৃহীত।