কাতারে আয়োজিত ফুটবল বিশ্বকাপে মঙ্গলবার মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব। ওই ম্যাচের আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রেফারি স্ল্যাভিক ভিনসিক। মেসির ম্যাচে রেফারিংয়ের দায়িত্বে থাকা স্ল্যাভিক বহু বিতর্কের পর আবার হুইসেল মুখে নামছেন ফুটবল ময়দানে।
—ফাইল চিত্র।
এক কথায় এই রেফারি বিতর্কিত চরিত্র। ৪২ বছর বয়সে যেমন ফুটবল দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়েছেন, তেমনি হাজতবাস করেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।
—ফাইল চিত্র।
২০২০ সাল। একটি ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ফুটবলপ্রেমীরা চিনতে পারেন মাথা ঝুঁকিয়ে পুলিশের সামনে বসে থাকা টানটান চেহারার এক ব্যক্তিকে। ইনিই তো স্ল্যাভিক ভিনসিক!
—ফাইল চিত্র।
২০২০ সালে পুলিশ আটক করেছিল স্ল্যাভিককে। না, কোনও ছোট মামলায় নয়। স্ল্যাভিকের সঙ্গে বসনিয়ায় ধরা পড়েন মোট ২৬ জন পুরুষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ৯ জন মহিলা। এই মহিলারা সবাই যৌনকর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ।
—ফাইল চিত্র।
শুধু তাই নয়। এই রেফারির সঙ্গে আটক হওয়া প্রত্যেকের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল কোকেন। কারও কারও কাছে আবার আগ্নেয়াস্ত্রও। ওই দাগী অপরাধীদের সঙ্গে কী করছেন স্ল্যাভিক! চমকে উঠেছিল সকলে।
—ফাইল চিত্র।
স্ল্যাভিকের ওই আটক হওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পেশা জীবন তো বটেই ব্যক্তিগত জীবনেও সঙ্কটে পড়েন এই রেফারি। পুলিশ যখন স্ল্যাভিকদের আটক করল, সেই দৃশ্যও ছিল অদ্ভুত।
—ফাইল চিত্র।
পুরুষরা হাত বাঁধা অবস্থায় বিছানায় বসে রয়েছেন। আর সামনের টেবিলে পড়ে রয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র! স্বল্পবাসে কয়েক জন মহিলাকেও পাওয়া যায় সেখানে। কেউ কেউ আবার ছিলেন ওই ঘর লাগোয়া সুইমিং পুলে।
—ফাইল চিত্র।
রেফারি-সহ কয়েক জন কুখ্যাত অপরাধীকে আটকের পর একটি লিখিত বিবৃতি দেয় পুলিশ। তাতে জানানো হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে গিয়ে একটি বাড়ি এবং কয়েকটি গাড়ি থেকে ১৪ প্যাকেট হেরোইন, ১০টি পিস্তল, ১০ হাজার ইউরো নগদ, ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
—ফাইল চিত্র।
পুলিশ জানায় ওই দলটি অবৈধ ভাবে নদীপথে যাতায়ত করত। বসনিয়া, সার্বিয়া ইত্যাদি অঞ্চলে নানা অবৈধ কার্যকলাপ চালাত এরা।
—ফাইল চিত্র।
আদালতে তোলা হয়েছিল এই ফিফা রেফারিকেও। তবে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন তিনি। পরে এই ঘটনার জন্য বার বার দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
—ফাইল চিত্র।
স্লোভেনিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যম স্ল্যাভিককে উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশ করেছিল। সেখানে এই রেফারি বলেন, ‘‘অদৃষ্টই আমাকে ওই খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। আমার নিজের একটি কোম্পানি আছে। একটি ব্যবসায়িক বৈঠকের জন্য বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েক জন আমায় মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করাই ছিল আমার জীবনের অন্যতম বড় ভুল। এর জন্য এখনও লজ্জা হয় আমার।’’
—ফাইল চিত্র।
তাঁর আটক হওয়ার ঘটনা নিয়ে ওই ফুটবল রেফারি বলেন, ‘‘আমি আমার পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে একটি টেবিল বুক করে বসে আছি। হঠাৎ পুলিশ এল। হইহই বেঁধে গেল। যে দলটিকে গ্রেফতার এবং আটক করা হয়েছে তাদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। তারা আমার ব্যবসায়িক অংশীদারও নয়।’’
—ফাইল চিত্র।
স্ল্যাভিকের ফুটবল কেরিয়ার প্রায় ১২ বছরের। আগে স্লোভেনিয়ান বেশ কিছু ফুটবল ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে ফিফার স্বীকৃতি পান।
—ফাইল চিত্র।
এর পর উয়েফা ইউরোপা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিভিন্ন ম্যাচ পরিচালনা করেন স্ল্যাভিক। বেশ কিছু ম্যাচে রেফারি স্ল্যাভিক বিতর্কের মুখেও পড়েন। তবে মাদক এবং মহিলা মামলার আগে বড় কোনও অপরাধের ঘটনায় নাম জড়ায়নি তাঁর।
—ফাইল চিত্র।
এ নিয়ে স্লোভেনিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের দাবি ছিল, স্ল্যাভিকের ওই স্থানে উপস্থিত থাকা আসলে একটি দুর্ঘটনা। তবে এর জন্য ওঁকে ঝামেলা পোয়াতে হবে। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকার মাশুল গুনতে হতে পারে পেশাগত জীবনেও।
—ফাইল চিত্র।
যদিও শেষমেশ সেই ফাঁড়া কাটিয়ে আবার ময়দানে ফিরছেন স্ল্যাভিক। তা-ও আবার যে ম্যাচে খেলতে নামছেন মেসি, সেই ম্যাচেই রেফারি তিনি।
—ফাইল চিত্র।