কারও বাড়িতে রয়েছে বিশালাকার সিনেমা হল। কারও বাড়িতে আবার বাথরুমের সংখ্যাই ২০। আস্ত হেলিপ্যাড থেকে আইসক্রিম পার্লার বা সুইমিং পুল— মুম্বইয়ের সবচেয়ে দামি ন’টি বাড়ির কোনটা কিনেছেন মুকেশ অম্বানী বা রতন টাটা। কোনওটার মালিক শাহরুখ খান বা অমিতাভ বচ্চন। খ্যাতনামীদের কে কত কোটিতে কিনেছেন সেগুলি?
ছবি: সংগৃহীত।
সেই সত্তরের দশকে ছ’ফুট দু’ইঞ্চির একটি ছিপছিপে যুবকের দাপট শুরু হয়েছিল বলিউডে। তার পর থেকে কয়েক দশক পরে অমিতাভ বচ্চন নিজেই একটি ব্র্যান্ড। সাধে কি আর তাঁর সম্পর্কে ফরাসি পরিচালক ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো এক বার বলেছিলেন, ‘ওয়ান-ম্যান ইন্ডাস্ট্রি’!
ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের যে বাংলোয় সপরিবার থাকেন ৭৯ বছরের অমিতাভ, সেই ‘জলসা’-র বাজারদর নাকি ১২০ কোটি টাকা। জুহুর ওই দোতলা বাংলোটি তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন ‘সত্তে পে সত্তা’ ছবির পরিচালক রমেশ সিপ্পি। তার আগেই অবশ্য ‘প্রতীক্ষা’ নামে একটি বাড়ির মালিক ছিলেন অমিতাভ। তবে ‘জলসা’-তে জয়া, অভিষেক, ঐশ্বর্যা এবং আরাধ্যার সঙ্গে থাকেন অমিতাভ। কাচবসানো তাক, মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত জানলা, বারোক পেন্টিং— কী নেই এতে!
ছবি: সংগৃহীত।
রুপোলি পর্দায় কোনও দিন তাঁকে দেখা যায়নি। তবে নিজের ক্ষেত্রে তিনিও তারকা। টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান অবসরজীবনে প্রবেশের আগে একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন। দেশের শিল্পক্ষেত্রকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাঁর অবদানও কম নয়। পদ্ম-সম্মানে ভূষিত রতন অবসরজীবন কাটানোর জন্য মুম্বইকেই বেছে নিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের কোলাবায় ১৩ হাজার ৩৫০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে রতন টাটার বাংলো। অনেকে বলেন, টাটার ব্যক্তিত্বের মতোই অভিজাত সেটি। ধবধবে সাদা ওই বাংলোয় রয়েছে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখার আলাদা জায়গা। সুইমিংল পুল, লাইব্রেরি এবং অবশ্যই নিজস্ব জিম। অবসরের পরেই নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন ৮৪ বছরের এই শিল্পপতি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের জন্য নিজের বাংলোতেই একটি মিডিয়া রুম তৈরি করেছেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
ছোট থেকে বড়পর্দায় তাঁর উত্তরণের কাহিনি কম নাটকীয় নয়। ভক্তদের কাছে তিনিই ‘বলিউডের বাদশা’। তবে বলিউডি দুনিয়া ছাড়াও শাহরুখ খানের অন্য জগৎ রয়েছে। নিজের বরাবরই খেলাধুলোয় আগ্রহী। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক আবার প্রযোজক হিসাবেও নাম করেছেন। রয়েছে একটি অত্যাধুনিক ভিস্যুয়াল এফেক্ট স্টু়ডিয়ো। আবার ছোটদের জন্য একটি থিম পার্কেও বিনিয়োগ রয়েছে শাহরুখের।
ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বলিউডে ঝাঁ-চকচকে দুনিয়ার প্রথমসারির বাসিন্দা। শাহরুখের মতোই তাঁর বাংলো ‘মন্নত’-কেও অনেকে একডাকে চেনেন। মুম্বইয়ে ঘুরতে আসা অনেকেই মন্নত-দর্শনে বান্দ্রায়ও ঢুঁ মারেন। নিজস্ব জিম, সুইমিং পুল, একটি বিশালাকার সিনেমা হল, বাগান, লাইব্রেরি এবং অবশ্যই একটি প্রেক্ষাগৃহ— শাহরুখের বাংলোয় কী নেই! এর বাজারদর নাকি কবেই ২০০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
বিড়লা গোষ্ঠীর চতুর্থ প্রজন্ম কুমার মঙ্গলম বিড়লার ছোটবেলা কেটেছে কলকাতায়। যৌথ পরিবারের বে়ড়ে ওঠা কুমার মাত্র ২৮ বছর বয়সে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেন। তার পর থেকে নিজের নিট সম্পত্তির পরিমাণ বা়ড়িয়ে নিয়েছেন ৯৬ হাজার কোটি টাকায়।
ছবি: সংগৃহীত।
মালাবার হিলের উপরে যে প্রাসাদোপম বাংলোটি চোখে পড়ে, সেটির মালিক হলেন ৫৪ বছরের কুমার মঙ্গলম বিড়লা। প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটে ছড়িয়ে থাকা বাংলোয় রয়েছে ২০টি বাথরুম। সুইমিং পুলের বদলে একটি পুকুর-সহ বিরাট বাগান। সে পুকুলের ৫০০-৭০০ জন অনায়াসে ঢুকে যেতে পারে। আরব সাগরের দিকে মুখ করে তাকিয়ে থাকা এ প্রাসাদের বাজারদর নাকি ৪২৫ কোটি টাকা।
ছবি: সংগৃহীত।
বাবার মতোই পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন মুকেশ অম্বানীর মেয়ে ঈশা অম্বানী। ২০১৪ সালে রিলায়্যান্স জিও এবং রিলায়্যান্স রিটেল-এর বোর্ডের সদস্য হন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
পিরামল গোষ্ঠীর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর আনন্দ পিরামলের সঙ্গে বিয়ের পর ওরলিতে একটি বাংলোয় তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন ঈশা অম্বানী। ৫০ হাজার বর্গফুটের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁদের বাংলো ‘গুলিতা’। অজয় এবং স্বাতী পিরামলই নাকি নবদম্পতিকে এটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনটি বেসমেন্ট, বিরাট লন, সুইমিং পুল-সহ যাবতীয় আধুনিক বিলাসের বন্দোবস্তই রয়েছে সমুদের ধারের এে বাংলোয়। নয় নয় করে এর বাজারদর নাকি ৪৫২ কোটি টাকা।
ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর নামের সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিল না আমজনতা। তবে করোনাকালে নিজের প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীকে প্রায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন সাইরাস পুনাওয়ালা। নিজের নামে যে গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার আওতাধীন ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’ (এসআইআই)। আদার পুনাওয়ালার হাত ধরে যে সংস্থার রমরমা শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী সংস্থায় পরিণত হয়েছে এসআইআই।
ছবি: সংগৃহীত।
ব্রিচ ক্যান্ডি এলাকায় সাইরাসের লিঙ্কন হাউসের দরজা খুললেই চোখে পড়ে উদার সমুদ্র। মুম্বইয়ের সবচেয়ে দামি বাংলোগুলির মধ্যে একেবারে প্রথমসারিতে রয়েছে। আবার ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তিগুলির মধ্যেও অন্যতম। দামও মন্দ নয়। সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা!
ছবি: সংগৃহীত।
২০০৬ সালে ধীরুভাই অম্বানীর প্রতিষ্ঠিত রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দু’ভাগ হওয়ার পর দাদা মুকেশ অম্বানীর মতোই এই গোষ্ঠীর একাধিক ব্যবসা সামলাচ্ছেন অনিল। তার মধ্যে রয়েছে রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল, রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স-এর মতো সংস্থা।
ছবি: সংগৃহীত।
বান্দ্রার পালি হিলে নামীদামি অভিনেতার বাংলোর মাঝে রয়েছে অনিল অম্বানীর ‘আডোব’। আক্ষরিক অর্থেই তাঁর বাসস্থান। প্রায় ষোলোশো বর্গফুটের বাড়িতে বিলাসবহুল সমস্ত সুযোগসুবিধাই রয়েছে। সুইমিং পুল, জিম, বিরাট গ্যারাজ। সঙ্গে কয়েকটি হেলিকপ্টারও। সেগুলি ওঠানামার করার জন্য নিজস্ব হেলিপ্যাড। এ সব বন্দোবস্তের জন্য বাংলোবাড়ির বাজারদর ঠেকেছে ৫ হাজার কোটি টাকায়।
ছবি: সংগৃহীত।
ব্যবসার পাশাপাশি সম্পত্তি নিয়ে মামলার বহু বার শিরোনামে উঠে এসেছেন শিল্পপতি বিজয়পত সিংহানিরায় ছেলে তথা রেমন্ড গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম সিংহানিয়া। তবে পারিবারিক ব্যবসায় যোগদানের পর তাকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন ৫৬ বছরের এই শিল্পপতি।
ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি এলাকা সাইরাস পুনাওয়ালার মতোই গৌতম বাড়ি রয়েছে। বা়ড়ি তো নয়, যেন প্রাসাদ! ৬ হাজার বর্গফুট জুড়ে সেই ‘জে কে হাউস’-এ ৩০ তলা রয়েছে। তার ছ’টিতে শুরু গাড়ি রাখার বন্দোবস্ত। এই বাড়িতেই ‘রেমন্ড’-এর অফিসও রয়েছে। গোটা বাড়ির দাম ছুঁয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা।
ছবি: সংগৃহীত।
রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর অধিকাংশ শেয়ারের মালিক শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী এক সময় ইয়েমেনে বসবাস করতেন। তবে আজকাল মুম্বইয়েই পাকা ঘাঁটি গড়েছেন। সত্তরের দশকে মুম্বইয়ের ভুলেশ্বরের দু’কামরার ফ্ল্যাট থেকে আজ বিশ্বের দ্বিতীয় দামি বাংলোর মালিক মুকেশ।
ছবি: সংগৃহীত।
এমন একটি সিনেমা হল, যার ভিতরে অন্তত ৮০ জন হাত-পা ছড়িয়ে বসতে পারেন। রয়েছে ন’টি দ্রুতগতির এলিভেটর, তিনটে হেলিপ্যাড, আইসক্রিম পার্লার। সঙ্গে সুইমিং পুল, জিম— এ সব তো রয়েইছে মুম্বইয়ে অ্যাল্টামাউন্ট রোডে মুকেশের বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’-য়। গত বছরের গোড়ায় বার বারই শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল মুকেশের এই বাড়িটি। ২৭তলা ওই বাড়ির অদূরে বিস্ফোরক রাাখা ছিল। তাকে ঘিরে বেশ রহস্যও ছড়িয়েছিল। দেশের অন্যতম ধনী মুকেশের ওই বাড়িরে বাজারদর কত? তা নাকি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
ছবি: সংগৃহীত।