২০১৫ সালের জানুয়ারি। সাত বছর আগে নাগাল্যান্ডের ছোট্ট মেয়ে মোনবেনি ইজুং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে জাতীয় সাহসিকতা পুরস্কার পেয়েছিল।
ফাইল ছবি।
মোনবেনি জাতীয় সাহসিকতা পুরস্কারপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয়। কী কারণে ওই পুরস্কার পেয়েছিল একরত্তি ওই মেয়ে?
ফাইল ছবি।
নাগাল্যান্ডের ওখা জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম চৌডি। সেই গ্রামেই মা-বাবা-ঠাকুমাকে সঙ্গে নিয়ে থাকে ছোট্ট মোনবেনি।
ফাইল ছবি।
২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বাড়ির কাছের একটি নদীতে ঠাকুমার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল মোনবেনি।
প্রতীকী ছবি।
মাছ ধরার সময় মোনবেনির ৭৮ বছর বয়সি ঠাকুমা রেনথুংলো জুঙ্গির স্ট্রোক হয়। সংজ্ঞাহীন হয়ে নদীর জলের মধ্যে পড়ে যান তিনি।
প্রতীকী ছবি।
ঠাকুমাকে ওই অবস্থায় দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যায় ছোট্ট মোনবেনি। কিন্তু সে সাহস হারিয়ে ফেলেনি।
প্রতীকী ছবি।
সর্বশক্তি দিয়ে কোনও রকমে ঠাকুমাকে জল থেকে টেনে তোলে মোনবেনি।
প্রতীকী ছবি।
মোনবেনি বুঝতে পারে ঠাকুমাকে জল থেকে তুলে নিয়ে এসেই তার দায়িত্ব শেষ নয়। তা়ড়াতাড়ি হাসপাতালে না নিয়ে গেলে ঠাকুমাকে বাঁচানো যাবে না বলেও আট বছর বয়সেই বুঝেছিল সে।
প্রতীকী ছবি।
কিন্তু মোনবেনির বাড়ি নদীর খুব একটা কাছে ছিল না। ওই নদী থেকে তার বাড়ি ছিল প্রায় সাত কিমি দূরে। বাড়ি যাওয়ার রাস্তাও ছিল ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে।
ফাইল ছবি।
ঠাকুমাকে জল থেকে তুলে বাড়ির উদ্দেশে দৌড়তে শুরু করে ছোট্ট মোনবেনি।
প্রতীকী ছবি।
ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়ার বা জন্তু-জানোয়ারের ভয়, কোনও কিছুই ছোট্ট মোনবেনিকে দমাতে পারেনি।
ফাইল ছবি।
প্রাণপণে দৌড়তে দৌড়তে বাড়ি পৌঁছয় মোনবেনি। বাবা-মা এবং গ্রামের বাকিদের ঠাকুমার অবস্থার কথা জানায়।
প্রতীকী ছবি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেনথুংলোকে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিমাপুর হাসপাতালে।
ফাইল ছবি।
ছোট্ট মেয়ের সাহসিকতার কথা এক-দু’দিনের মধ্যে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ছোট্ট মোনবেনি জানায়, ঠাকুমার প্রতি গভীর ভালবাসাই তাকে এই সাহসিকতা দেখাতে অনুপ্রাণিত করেছে। সংবাদমাধ্যমে মোনবেনি এ-ও জানায় যে, সে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
ফাইল ছবি।
২০১৮ সালে মোনবেনির ওই সাহসিকতার কাহিনি নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি হয়। ‘চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’ প্রযোজিত ওই সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন আকাশদিত্য লামা।
ফাইল ছবি।
মোনবেনির গল্প নিয়ে নাগা এবং হিন্দিতে তৈরি হওয়া ওই ছবির নাম ছিল ‘নানি তেরি মোরনি’। সিনেমাটি গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছিল।
ফাইল ছবি।
সাহসিকতার জন্য ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত থেকে জাতীয় সাহসিকতা পুরস্কার পেয়েছিল মোনবেনি।
ফাইল ছবি।