রেড কার্পেট হোক অথবা কোনও বলিউড তারকার জন্মদিন, এমনকি বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময়েও ক্যামেরার চোখ সব সময়ই ঘিরে থাকে বলি তারকাদের। কোনও অভিনেত্রী গাউন ড্রেস পরে সকলের নজর কাড়ছেন, কোনও অভিনেতা আবার ‘এয়ারপোর্ট লুক’-এ নেটমাধ্যম কাঁপাচ্ছেন।
অধিকাংশ সময় তারকাদের এই সাজপোশাক প্রচারেও আসে। সম্প্রতি ‘গঙ্গুবাঈ’ ছবিতে আলিয়া ভট্টকে যে ধরনের সাদা রঙের শাড়িতে দেখা গিয়েছিল, সিনেমা মুক্তির পর ওই শাড়ির ডিজাইনের অনুকরণে তৈরি শাড়ি বিক্রি হয়েছে বাজারে।
তবে, এর পিছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রয়েছে পোশাকশিল্পীদের। তাঁদের জন্যেই টিনসেল নগরী আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই পোশাকশিল্পী অথবা ‘ফ্যাশন আর্টিস্ট’দের কেউ লাখের গুণিতকে উপার্জন করেন, কেউ আবার কোটির গুণিতকে।
বলিউডের রাইসুন্দরী যখনই ক্যামেরার সামনে আসেন, তাঁর পোশাক আলাদা ভাবে নজর কাড়ে। ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের পোশাকশিল্পী আস্থা শর্মার ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ১০ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি।
শুধু মাত্র ঐশ্বর্যাই নয়, সইফ আলি খান, দিশা পটানি, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ-সহ অন্য তারকারও পোশাক ডিজাইন করেন তিনি। মুম্বইয়ে তাঁর একটি ‘ফ্যাশন স্টোর’ও রয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে আস্থা জানিয়েছিলেন, প্রতিটি পোশাক ডিজাইন করতে তিনি ২০ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধার্য করেন। কখনও কখনও পাঁচ লক্ষের বেশিও উপার্জন করেছেন তিনি।
‘ককটেল’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের প্রতিটি পোশাক হিট হয়েছিল। এই পোশাকগুলি অনৈতা শ্রফ আদাজানিয়া ডিজাইন করেছেন। ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্যের চূড়ায় থাকা পোশাকশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
ভারতের নামকরা পত্রিকার কভারের জন্য যে বলি তারকারা ফটোশ্যুট করেন, সেই পোশাকগুলোও ডিজাইন করে দেন অনৈতা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রেড কার্পেটের জন্যও পোশাক ডিজাইন করেন তিনি।
যদি কোনও তারকা তাঁর ডিজাইন করা পোশাক পরবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন, তবে তার জন্য সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক আদায় করেন তিনি।
কিন্তু দীপিকার ব্যক্তিগত ‘ফ্যাশন স্টাইলিস্ট’ হলেন শালীনা নাথানি। শুধু দীপিকাই নয়, মাধুরী দীক্ষিত, তারা সুতারিয়া, নোরা ফতেহি-সহ অনেক বলি তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, এক একটি পোশাকের জন্য ৭৫ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পান শালীনা।
অনন্যা পাণ্ডে, সারা আলি খান, জাহ্নবী কপূরের মতো বড়পর্দায় নবাগতা অভিনেত্রী ছাড়াও ক্যাটরিনা কইফ, সোনম কপূর আহুজা, করিনা কপূর খান, করিশ্মা কপূরের মতো তারকার পোশাকশিল্পী হিসাবে কাজ করেন তানয়া গাভরি।
সহকর্মী থেকে শুরু করে ফ্যাশন স্টাইলিস্ট— ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত যে কোনও পেশায় সর্বনিম্ন বেতনের পরিমাণ মাস প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বড় মাপের ফ্যাশন স্টাইলিস্টরা কখনও এক দিনেই দুই লক্ষ টাকা উপার্জন করেন।
অনুষ্কা শর্মা থেকে শুরু করে নার্গিস ফাকরি, শ্রদ্ধা কপূরের সঙ্গে কাজ করেন আল্লিয়া আল রুফাই। অভিনেত্রীদের সাজপোশাক তৈরি করতে তিনি এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পান।
সইফ আলি খান, অদিতি রাও হায়দারি, জাহীর ইকবাল, আলয়া এফ-সহ তারকাদের ফ্যাশন স্টাইলিস্ট হিসাবে কাজ করেন সনম রতনসি। তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে প্রায় সাত লক্ষ টাকা অবধি উপার্জন করেন।