২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ১৬ বছর ধরে অভিনেত্রীর পরিচয়ের পাশাপাশি বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূর পরিচয় নিয়েও পথ চলছেন তিনি। বলিপাড়ায় একাধিক বার কানাঘুষো শোনা গিয়েছে যে শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক ঐশ্বর্যার। এ বার মুখ খুললেন অমিতাভ নিজে। ঐশ্বর্যা বচ্চন পরিবারের সদস্য হওয়ার পর নাকি অনেক কিছু বদলে যায়, এমনটাই দাবি করেছিলেন খোদ অমিতাভ।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, বচ্চন পরিবারে ঐশ্বর্যা পা রাখার পরেই নাকি পরিবারে ভাঙন ধরে। শাশুড়ি জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ভাল নয় ঐশ্বর্যার।
সম্প্রতি কিছু ঘটনায় বচ্চন পরিবারের ভাঙন নিয়ে জল্পনার বুদবুদ আরও বেশি করে তৈরি হয়েছে। চলতি মাসে প্যারিস ফ্যাশন উইকে একটি প্রসাধনী সংস্থার তরফে ফ্যাশন সরণিতে হেঁটেছিলেন ঐশ্বর্যা। হেঁটেছিলেন শ্বেতার কন্যা নব্যা নভেলি নন্দও।
নব্যার শো চলাকালীন জয়া এবং শ্বেতাকে দেখা গেলেও ঐশ্বর্যার শোয়ে অতিথিদের আসনে দেখা মেলেনি তাঁদের।
১১ অক্টোবর ৮১ বছরে পা দিলেন অমিতাভ। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আরাধ্যা, অগস্ত্য (শ্বেতার পুত্র), অমিতাভ এবং জয়ার সঙ্গে একটি ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন শ্বেতা।
শ্বেতার পোস্ট করা ছবিটিই শ্বশুরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন ঐশ্বর্যা। কিন্তু সে ছবিতে কাঁচি চালিয়ে বাদ দিয়ে দেন জয়া, নব্যা এবং অগস্ত্যকে। ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে শুধু দেখা যায় ঐশ্বর্যা-কন্যা আরাধ্যার মুখ।
বেশ কয়েক বছর আগে অমিতাভ জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্যা আসার পর বচ্চন পরিবারে বদল লক্ষ করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অমিতাভ জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবার থেকে এক মেয়ে চলে গিয়েছিল। শূন্যতা তৈরি হয়েছিল বহু বছর। ঐশ্বর্যা সে শূন্যতা পূরণ করেন বলে জানান বিগ বি।
১৯৯৭ সালে দিল্লির শিল্পপতি নিখিল নন্দকে বিয়ে করেন অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা। অমিতাভ জানান, শ্বেতার বিয়ের পর তাঁদের বাড়ি যেন ফাঁকা হয়ে যায়।
ঐশ্বর্যা প্রসঙ্গে অমিতাভ বলেন, ‘‘শ্বেতা যাওয়ার পর মেয়ে চলে গেল বলে কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু ঐশ্বর্যা আসার পর মনে হল মেয়ে ফিরে এল।’’
জয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যার বিয়ের সময় অমিতাভের চোখে এক অদ্ভুত ঝলক লক্ষ করেছিলেন তিনি।
জয়া বলেন, ‘‘ঠিক যে মুহূর্তে ঐশ্বর্যার দিকে অমিত তাকিয়েছিল, সে মুহূর্তে মনে হয়েছিল তিনি যেন শ্বেতাকে বাড়ি ফিরতে দেখছেন। ওঁর চোখে ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল। শ্বেতা যে শূন্যতা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্যা এসে তা পূরণ করল।’’
জয়া আরও বলেন, ‘‘শ্বেতার বিয়ের পর আমরা কখনও ওর চলে যাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। ও যে আর বচ্চন পরিবারের সঙ্গে থাকে না তা মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল।’’
ঐশ্বর্যার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়েও পুরনো সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন জয়া। জয়া বলেন, ‘‘ঐশ্বর্যার সঙ্গে আমার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। ওর কোনও স্বভাব পছন্দ না হলে আমি ওকে সরাসরি বলি। ওর পিছনে কখনও নিন্দা করি না।’’
ঐশ্বর্যাও নাকি জয়ার সঙ্গে একই রকম ভাবে মেশেন বলে সাক্ষাৎকারে জানান জয়া। জয়া বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ঐশ্বর্যার মতের অমিল হলে সে কথা ও আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।’’
সকল ছবি সংগৃহীত।