দারুণ মজা পান নিজের কাজে। কাজের জন্য ছেড়েছেন বড় চাকরিও। তিনি অঙ্কিত জোশী। নয়ডার ক্যাবচালক।
যাত্রীদের সঙ্গে যাত্রাপথে গল্প করাই তাঁর নেশা। সেই গল্প রেকর্ডও করেন অঙ্কিত। তার পর তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। সেই কথোপকথন শোনার জন্য সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুগামী অনেকেই।
দীর্ঘ যাত্রাপথ অনেক সময়ই একঘেয়ে হয়ে ওঠে চালকদের কাছে। কিন্তু অঙ্কিতের কাছে সে রকম হয় না। কারণ তিনি ক্রমাগত গল্প করেন যাত্রীদের সঙ্গে। সেই গল্প শোনার জন্য সমাজমাধ্যমে অঙ্কিতের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় পৌনে দু’লক্ষ।
কর্পোরেট জগতে কাজ করতেন অঙ্কিত। ছিলেন বিজনেস ডেভেলপার। সেই কাজ তাঁর ভাল লাগেনি। চাকরি ছেড়ে দেন ২৮ বছরের যুবক।
এর পর ক্যাব নিয়ে পথে নেমে পড়েন। নয়ডায় গাড়ি চালান তিনি। কবে থেকে, সে বিষয়ে অবশ্য খুব একটা খোলসা করেননি অঙ্কিত।
গত বছর এক চশমার বিপণির মহিলা কর্মীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। ওই কর্মী অঙ্কিতের ক্যাবে উঠে ওটিপি দেন। তার পরেই অঙ্কিত তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, কথোপকথনের রেকর্ড তিনি করবেন কি না। সেই ভিডিয়ো তিনি নিজের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন।
চশমার বিপণির কর্মী তাতে রাজি হন। এর পরেই চলে চালক এবং যাত্রীর গল্প। মহিলা তাঁকে জানান, অঙ্কিত যা করছেন সেটা অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগাবে।
এর পরেই অঙ্কিত মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কী করেন। মহিলা তাঁর পেশা জানানোর পর অঙ্কিত জিজ্ঞেস করে বসেন, তিনি কি চশমার দামে কোনও ছাড় পেতে পারেন?
ওই মহিলা জানান, তাঁর সঙ্গে কয়েকটি চশমার নমুনা রয়েছে। চাইলে অঙ্কিত দেখতে পারেন। চাইলে তাঁকে দিতেও পারেন একটি।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি রোদচশমা চোখে পরে দেখেন অঙ্কিত। সেটি তাঁকে দিয়ে দেন ওই মহিলা কর্মী। গত সেপ্টেম্বরে ভিডিয়োটি পোস্ট করার কয়েক দিনের মধ্যে সেটি দেখা হয় চার লক্ষ বার।
এখন পর্যন্ত ভিডিয়োটিতে লাইক দিয়েছেন সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি জন। ভিডিয়ো দেখে নানান জন নানান মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘এই ধরনের ভিডিয়ো আরও বেশি করে দেখতে চাইব।’
অনেকেই ওই মহিলা কর্মীর তারিফ করেছেন। কেউ আবার অঙ্কিতকে বাহবা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি যে বড় চাকরি ছেড়ে নিজের ভালবাসার কাজ করতে পেরেছেন, এটা বড় বিষয়।
গত ডিসেম্বরে ওই মহিলা আবার অঙ্কিতের ক্যাবে উঠেছিলেন। সে বারও অঙ্কিত গোটা সফরের রেকর্ড করে রাখেন। মজার বিষয়, দ্বিতীয় বারও অঙ্কিতকে একটি রোদচশমা দেন ওই মহিলা।
ভিডিয়োটি পোস্ট করলে আবারও আপ্লুত হয়ে পড়েন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। খুশি হন অঙ্কিতও।
সব ছবি: সংগৃহীত।