প্রেমযাপন করতে প্রেমিকের সঙ্গে ফ্লোরিডায় গিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সেখানে গিয়ে অন্য এক যুবকের প্রেমে পড়েন তিনি। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বিয়েও করে ফেলেন সদ্য চেনা যুবককে। অদ্ভুত লাগলেও তেমন ঘটনাই ঘটিয়েছেন আমেরিকার মিশিগানের বাসিন্দা কারা।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাস। ২৮ বছর বয়সি কারা প্রেমিকের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ফ্লোরিডা গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন এবং প্রিয় বন্ধু।
ফ্লোরিডায় গিয়ে এক দিন সমুদ্রসৈকতের ধারে স্পিনাকার্স বিচ ক্লাব নামে একটি জায়গায় খেতে গিয়েছিলেন কারা এবং তাঁর সঙ্গীরা।
সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় ব্রিটেনের বাসিন্দা জেমস এবং তাঁর বন্ধুদের। কিছু ক্ষণের আলাপেই দুই দলের বন্ধুত্ব হয়। সবাই একসঙ্গে ঘুরতেও যান।
সকলে মিলে ঠিক করেন, ওই দিন রাতেও তাঁরা একসঙ্গে নৈশভোজ করবেন এবং জমিয়ে আড্ডা দেবেন।
রাতে সকলে একটি ক্লাবে যান এবং পার্টি করেন। পার্টিতে খাওয়াদাওয়ার পর কারার প্রেমিক এবং বন্ধু বলেন যে, তাঁরা হোটেলে ফিরে যাচ্ছেন এবং কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার ফিরে আসবেন।
কিন্তু তাঁরা ফেরেননি। দেরি হচ্ছে দেখে কারা বার বার তাঁদের ফোন করতে থাকেন। ফোন বেজে গেলেও দু’জনের কেউই ফোন ধরেননি।
বাধ্য হয়ে সারা রাত জেমস এবং তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন সারা এবং তাঁর বোন।
জেমসের সঙ্গে অনেক ক্ষণ ধরে কথা বলার পর কারা বুঝতে পারেন, তাঁদের দুজনের মধ্যে অনেক মিল। রাতে মদ্যপানের পর তাঁরা একসঙ্গে নাচানাচি করেন। একে অপরের ফোন নম্বর বিনিময়ও করেন।
পরের দিন সকালে কারার প্রেমিক সে কথা জানতে পারলে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন কারা।
এর পর জেমসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে কারার। ফ্লোরিডা থেকে ফিরে তাঁরা পরের তিন মাস ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
এর পর কারার সঙ্গে দেখা করতে ওই বছরের অগস্টে মিশিগান যান জেমস। জেমসকে নিজের শহর ঘুরিয়ে দেখান কারা। পরিবারের সঙ্গেও আলাপ করান। সেখানেই দু’জনের মধ্যে প্রেম বিনিময় হয়।
জেমস ফিরে যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যে ব্রিটেন পাড়ি দেন কারা। লন্ডনে বেশ কয়েক দিন একসঙ্গে কাটান তাঁরা।
এর মাস দু’য়েক পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন যুগল। দুই পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে অক্টোবরে বিয়ে করেন জেমস এবং কারা।
বিয়ের পর কারা জেমসের সঙ্গে লন্ডনেই থাকেন। কারার খবর প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। অনেকের মতে, কারার প্রাক্তন প্রেমিকের ভুল ওই দিন রাতে ফোন না ধরা। কারার প্রাক্তন প্রেমিক যদি ওই রাতে ফোন ধরতেন, তা হলে এমনটা না-ও ঘটতে পারত।
ছবি: সংগৃহীত।