প্রতীকী চিত্র
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়ছে। বেশির ভাগ ব্যক্তি ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য ভরসা রাখছেন মিউচুয়াল ফান্ডে। কিন্তু না জেনে বুঝে বিনিয়োগ করলে অনেক সময়েই বিপদে পড়তে হতে পারে। কারণ মিউচুয়াল ফান্ডে অবধারিত ভাবে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাই বরং জেনে নিন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে কী কী বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকির মাত্রা বিভিন্ন হয়
নির্দিষ্ট ভাবে এ কথা কখনওই বলা যায় না যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি বেশি বা কম আছে। প্রতিটি ফান্ডেই ঝুঁকির মাত্রা আলাদা। সুতরাং, যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে সেই নির্দিষ্ট ফান্ডের রিস্কোমিটার পরীক্ষা করে দেখুন। প্রতিটি স্কিমের জন্য একটি নির্দিষ্ট ঝুঁকি বরাদ্দ থাকে। তা দেখেশুনে বিনিয়োগ করুন।
প্রত্যেক বছর একই পরিমাণ রিটার্ন পাবেন না
সাধারণত মিউচুয়াল ফান্ডে রিটার্ন বলতে বার্ষিক রিটার্ন বোঝায়। এর থেকে মনে হতেই পারে যে প্রতি বছর একই পরিমাণ রিটার্ন পাওয়া যাবে। বিষয়টা আদপেই তেমন নয়। হতেই পারে আপনি প্রথম বছরে +১০% রিটার্ন পেলেন আবার পরের বছরে রিটার্ন দাঁড়াল -২%। আবার এমনও হতে পারে কোনও বছরে রিটার্ন পেলেনই না। রিটার্নের এই ওঠানামার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এসআইপি বিনিয়োগের শৃঙ্খলা তৈরি করতে সহায়তা করে
এসআইপি আপনাকে বাজারের অস্থিরতা থেকে রক্ষা করে। এতে প্রতি মাসে একই অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করার ফলে যখন বাজারে লোকসান চলে, তখন মন্দা সত্ত্বেও একই দামে আপনি এসআইপি থেকে আরও ইউনিট পাবেন। এটি আপনাকে আপনার বিনিয়োগের সামগ্রিক খরচ কমাতে সাহায্য করে। একে বলা হয় রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং, যা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন পেতে সাহায্য করতে পারে।
নেট সম্পদ মূল্য
মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি ইউনিট বাজার মূল্যকে বলে নেট সম্পদ মূল্য বা নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি)। উচ্চ নেট সম্পদ মূল্যের মিউচুয়াল ফান্ডগুলি ব্যয়বহুল এবং বৃদ্ধিও কম হয়। আবার, কম নেট সম্পদ মূল্যের মিউচুয়াল ফান্ডগুলির খরচ কম হয় এবং আরও বৃদ্ধির সুযোগ দেয়। যাই হোক, কখনও কখনও উচ্চ এনএভি-র মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের ভাল রিটার্ন দেওয়ার জন্য মানসম্পন্ন স্টক এবং বন্ডগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারে। তাই, এনএভি গুরুত্বপূর্ণ হলেও যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে বিনিয়োগের একমাত্র কারণ হতে পারে না।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।