Haunted House

আলমারিতে পোশাক, বসার ঘরে টিভি, ৮৬ কোটি টাকার প্রাসাদে নেই শুধু মানুষ, নেপথ্যে কোন রহস্য

তিরিশ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদোপম বাড়ির গোটাটাই ফাঁকা। কোনও মানুষ বসবাস করেন না সেখানে। এমনই এক অট্টালিকাতে ঢুকে চমকে গেলেন দুই নেটপ্রভাবী।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৪৩
তিরিশ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদোপম বাড়ির গোটাটাই ফাঁকা।

তিরিশ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদোপম বাড়ির গোটাটাই ফাঁকা। ছবি: সংগৃহীত

‘পরের জায়গা পরের জমিন ঘর বানাইয়া আমি রই, আমি তো সেই ঘরের মালিক নই,’ এই গানের সঙ্গে মিলে যাবে এই কাহিনি। তিরিশ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদোপম বাড়ি। ঝকঝক করছে সাদা মার্বেলের মেঝে। সব মিলিয়ে দশটি শয়নকক্ষ রয়েছে অট্টালিকাটিতে। রয়েছে এগারোটি স্নানাগার। কিন্তু এত বড় বাড়ির গোটাটাই ফাঁকা। কোনও মানুষ বসবাস করেন না সেখানে। এমনই এক অট্টালিকাতে ঢুকে চমকে গেলেন দুই নেটপ্রভাবী। জেরেমি অ্যাবট ও বিগ ব্যাঙ্কস নামের দুই ইউটিউবার কৌতূহলবশত প্রবেশ করেছিলেন পরিত্যক্ত অট্টালিকাটিতে। কিন্তু কেন কোনও বাসিন্দা নেই বাড়িটির? নিজেরাই জানিয়েছেন প্রভাবীরা।

Advertisement

অ্যাবটের তোলা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অট্টালিকাটির ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু দামি আসবাব, রয়েছে বড় মাপের টিভি এবং গাড়িও। বেশ কয়েক বাক্স দামি জুতোও দেখতে পেয়েছেন তাঁরা। আলমারির ভিতরে মিলেছে পোশাকের ভান্ডার। পোশাক বা জুতোর অধিকাংশই অব্যবহৃত। এমনকি, সেগুলিতে লাগানো রয়েছে দামের ট্যাগও। বাড়ির বাইরে রয়েছে একটি বাস্কেটবল খেলার কোর্ট।

অট্টালিকাটির ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু দামি আসবাব।

অট্টালিকাটির ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু দামি আসবাব। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাবট জানিয়েছেন, বাড়িটি যিনি তৈরি করেন তিনি দেশের প্রথম সারির এক শল্যচিকিৎসক ছিলেন। ৪ সন্তানের বাবা ওই চিকিৎসক অবসর সময় বিমান চালতেন। ২০০৬ সালে পরিবারের জন্য এই বাড়িটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই সময় বাড়িটি তৈরির খরচ ধরা হয় ১ কোটি মার্কিন ডলারের মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৮৬ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু বাড়ির কাজ যখন প্রায় শেষ তখনই একটি বিমান দুর্ঘটনায় ওই চিকিৎসক ও তাঁর এক পুত্রের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের মৃত্যুর পর নির্মাতা সংস্থার পাওনা প্রায় ৬৬ কোটি টাকা মেটাতে হিমসিম খেতে শুরু করে তাঁর পরিবার। পাশাপাশি এই বিশাল বাড়ির জন্য প্রচুর টাকা করও জমা করতে হয়। সেই টাকাও তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন
Advertisement