আলিয়ার সেই ব্রালেট, যা এখন চর্চায়।
কিছুটা দেখাব, কিছুটা লুকবো!
পোশাকের এক কোণ থেকে আলতো করে উঁকি দিয়ে কৌতূহল বাড়িয়েই কাজ শেষ করতে সে রাজি নয়। লেস-স্যাটিনের মেলবন্ধনে রীতিমতো স্বতন্ত্র পোশাক এখন ‘ব্রালেট’। কখনও তা নিয়ে নিচ্ছে ক্রপ টপের স্থান, তো কখনও সে ফিনফিনে শ্রাগের ভিতর থেকে হাতছানি দিয়ে নজর টেনে রাখছে তন্বীর দিকে!
কিছু দিন আগে দীপিকা পাড়ুকোনের জন্মদিনে আলিয়া ভট্টের পরনে কালো ‘ব্রালেট’ দেখে কৌতূহল-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নেটাগরিকেরা তখনই খেয়াল করেন যে, শুধু আলিয়া নন, করিনা থেকে মালাইকা, সকলেই এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন আকারে হাল্কা, স্বভাবে চনমনে-কেতাদুরস্ত এই ফ্যাশন মহিমাকে। এ সব চোখে পড়তেই ফ্যাশন দুনিয়ায় আরও চর্চা বেড়েছে ব্রালেট নিয়ে। বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি বটে, তবে ব্রালেট হয়ে উঠেছে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট।
কোনও শব্দের সঙ্গে ‘লেট’ জুড়লেই ধরে নেওয়া হয়, এটি তার সন্তানতুল্য। তবে কি এই পোশাকও অতি ব্যবহৃত অন্তর্বাসের সঙ্গে তেমনই সম্পর্ক স্থাপন করেছে? আর যা-ই হোক, একে যে-সে সন্তান বলা চলে না! বরং ইতিমধ্যেই নিজের এক স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছে ব্রালেট। পোশাকের অন্দরে নিজেকে লুকিয়ে রেখে খাটো করতে মোটেই রাজি নয় এই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। খোলা মেজাজের সাজ-সচেতনতাকে আহ্বান জানাতে ব্রালেটে কোনও শক্ত ইলাস্টিক রাখা হয় না। যেখানে মূলত নারী শরীরকে সুন্দর ‘শেপ’ দেওয়ার কাজেই মগ্ন থাকে ব্রা, ব্রালেট সেই আকারের দিকে চোখ টেনে ধরার জন্য আরও একটু আধুনিক। ফলে এখন প্যান্ট, স্কার্ট থেকে শাড়ি— সবের সঙ্গেই দল করে হাজির হয়ে ফ্যাশন জগতকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিচ্ছে ব্রালেট। উজ্জ্বল রঙে কখনও ব্যাকলেস, তো কখনও হল্টার নেক এই পোশাকে যখন-তখন দেখা দিচ্ছেন অভিনেত্রী থেকে মডেলরা।
তবে এই পোশাক নিয়ে বেশি হইচইয়ের কোনও কারণ দেখছেন না লঁজারি ডিজাইনার স্বাতী গৌতম। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ ব্রায়ের থেকে এই ব্রালেট বিশেষ আলাদা কিছু নয়। শুধু এতে ইলাস্টিক সাপোর্ট থাকে না। ফলে কিছুটা আলাদা দেখায় মাত্র।’’ তাঁর বক্তব্য, এক-এক সময়ে একই জিনিসের নাম এবং ব্যবহারে বদল না এলে ফ্যাশন জগত একঘেয়ে হয়ে যায়। ব্রালেট তেমনই এক স্বাদবদলের নাম!