নিজের ডান চোখে নীল ও বাম চোখে বেগুনি রঙের ট্যাটু করান অনায়া। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার মডেল অ্যাম্বার লুক নিজের অক্ষিগোলকের মধ্যে ট্যাটু করিয়ে নজর কেড়েছিলেন অনেকের। তারই পরম ভক্ত আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা অনায়া পিটারসন। অ্যাম্বারকে অনুকরণ করতে গিয়ে ৩২ বছর বয়সি অনায়া সিদ্ধান্ত নেন চোখে ট্যাটু করানোর। আর তাতেই বিপত্তি। ট্যাটুর কালি থেকে চোখে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেই প্রতিক্রিয়া এতই প্রবল যে চিকিৎসকদের আশঙ্কা, চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারেন অনায়া।
অস্ট্রেলীয় মডেল অ্যাম্বার ট্যাটু করানোর পর ৩ সপ্তাহের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার পর ফের তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। তা দেখে আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের বাসিন্দা অনায়া ভেবেছিলেন প্রথমে এক চোখে ট্যাটু করাবেন। যাতে কোনও সমস্যা হলেও অন্য চোখে দেখতে অসুবিধা না হয়। সেই মতো ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রথম বার নিজের ডান চোখে নীল রঙের ট্যাটু করান অনায়া। তখন চোখ শুকিয়ে যাওয়া এবং মাথাব্যথা বাদে আর তেমন কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। বিশেষ কোনও সমস্যা না হওয়ায় সেই বছরই ডিসেম্বর মাসে অনায়া সিদ্ধান্ত নেন অন্য চোখে ট্যাটু করানোর। বাম চোখে বেগুনি রঙের ট্যাটু করান তিনি।
দ্বিতীয় চোখে ট্যাটু করানোর পর প্রায় ৮ মাস কোনও রকম সমস্যা হয়নি চোখে। কিন্তু ২০২১ সালের অগস্ট মাসে এক দিন ঘুম থেকে উঠে অনায়া দেখেন, চোখ ফুলে ঢোল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, ট্যাটুর কালি থেকেই চোখে খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা এ-ও বলেন, সেই কালি থেকে ছানি পড়ছে অনায়ার চোখে। সাধারণ ছানির ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান রোগীরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যে হেতু ট্যাটুর কালি দূর করার কোনও উপায় নেই, তাই বার বার ছানি পড়তেই থাকবে। অস্ত্রোপচার করলেও ঠিক হবে না এই সমস্যা। শখের ট্যাটু থেকেই দৃষ্টিশক্তি হারানোর এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন অনায়া। তাঁর খেদোক্তি, “এমনটা হবে জানলে কখনওই ট্যাটু করাতাম না।”