চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রথম এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল তাঁকে। ছবি- প্রতীকী
‘আপনার বয়স কত?’
উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা জেনিস ওয়ালশ। চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রথম এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি উত্তরও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরিটা হয়নি। জেনিসের মনে হয়েছে, তিনি মহিলা এবং তাঁর বেশি বয়স— এই দু’টি কারণেই তাঁকে চাকরিতে নেওয়া হয়নি।
একটি পিৎজা সংস্থা, গ্রাহকদের কাছে পিৎজা পৌঁছে দেওয়ার জন্য লোক খুঁজছিল। সেই বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন জেনিস। ডাক পান ইন্টারভিউয়ের জন্য। কিন্তু ওই সংস্থার এমন প্রশ্নে যারপরনাই ক্ষুব্ধ তিনি। জেনিস জানিয়েছেন, ইন্টারভিউয়ে তাঁর বয়স জানার পর, যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তিনি তা খাতায় লিখে রাখেন। তার পর আর কোনও প্রশ্ন জেনিসকে করা হয়নি। সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, ফলাফল পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো অপেক্ষা করছিলেন জেনিস।
কিছু দিন পর সেই পিৎজা সংস্থা, লোক নেওয়ার জন্য নতুন করে বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনটি চোখে পড়ে জেনিসেরও। তিনি ধরে নেন, বেশি বয়সি মহিলা বলেই তাঁকে চাকরিতে নেওয়া হয়নি। এর পরই ওই পিৎজা সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন। আদালতে জেনিসের ধারণা সত্য বলে প্রমাণিত হয়। পিৎজা সংস্থাটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ জেনিসকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। চাকরি না পেলেও আদালতের এই নির্দেশে খুশি জেনিস।