করোনা আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ছবি- প্রতীকী
দেশে আবারও ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়ল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় সংক্রংমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৪ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ফের বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। অনেককেই রাখতে হচ্ছে ভেন্টিলেশনেও।
করোনাভাইরাস বিভিন্ন পথে প্রবেশ করে শরীরে। হার্ট, কিডনি, ফুসফুস— যে কারণে কারও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কারও ডায়রিয়া। কো-মর্বিডিটি থাকলে, রোগের লক্ষণ জোরালো হচ্ছে আরও। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ সরাসরি আক্রমণ করে শ্বাসনালি ও ফুসফুসে। করোনা সেরে যাওয়ার পরেও রোগীর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কার্যক্ষমতা কমে গিয়েছে। যে কারণে রোগী এমনিতে সুস্থ হলেও অল্পে হাঁপিয়ে পড়েছেন।
করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর প্রাথমিক উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। এ ছাড়াও গলা ব্যথা, গলা খুসখুস করা, শুকনো কাশি তো আছেই। এর পর ভাইরাস ক্রমশ ব্রঙ্কিয়াল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। তার পর ফুসফুসে ঢুকে এটি অ্যালভিওলাই ও ফুসফুসের থলিগুলির ক্ষতি করে। যে কারণে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করার কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে শরীর থেকে বার করার কাজও ব্যহত হয়। বর্তমান করোনা আবহে অনেক কোভিড রোগীর ফুসফুসে একটা আস্তরণ দেখা যাচ্ছে।
মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীর মধ্যে, ১৭ জনকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক জনকে রাখতে হয়েছে ভেন্টিলেশনেও। প্রত্যেকেরই বয়স প্রায় ৬০ ছুঁইছুঁই।