Flight Mode

বিমানে উঠেই ফোনে ‘ফ্লাইট মোড’ তো চালু করে দেন, কিন্তু এটা না করলে কী বিপদ ঘটতে পারে?

বিমানে উঠে নিয়মমাফিক ‘ফ্লাইট মোড’ চালু তো করেন। কিন্তু কী জন্য করা হয়, তা অনেকেই জানেন না। জানতে চান?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ১৪:৩৬
বিমানে ফ্লাইট মোড চালু করা জরুরি।

বিমানে ফ্লাইট মোড চালু করা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।

বিমানে যাতায়াত করার বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। তার মধ্যে অন্যতম হল বিমানে উঠে নির্দিষ্ট আসনে গুছিয়ে বসে, সিটবেল্ট শক্ত করে বেঁধে নিয়ে ফোনের ‘ফ্লাইট মোড’ চালু করে দেওয়া। প্রায়শই যাঁরা বিমান সফর করেন, তাঁরা বিষয়টিতে অভ্যস্ত। তবে নতুনদেরও ভুল হওয়ার উপায় নেই। কারণ বিমানসেবিকারা ফোনে ‘ফ্লাইট মোড’ চালু করার কথা ঘোষণা করেন। ‘ফ্লাই়়ট মোড’ চালু হওয়ার পর কাউকে ফোন কিংবা মেসেজ করার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ইন্টারনেটও কাজ করে না। বিমানে উঠে নিয়মমাফিক এ সব তো করেন, কিন্তু কী জন্য করেন, তা অনেকেই জানেন না। জানতে চান?

Advertisement

১. বিমান সফরের সময়ে মোবাইল চালু করে রাখলে বিমানের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। মোবাইলে ‘ফ্লাইট মো়ড’ চালু না থাকলে বিমানচালকের সমস্যা হতে পারে। প্লেন চালানোর সময়ে পাইলট সর্বদা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই পরিস্থিতিতে ফ্লাইট মোড চালু রাখলে পাইলটদের সুবিধা হবে। মোবাইল ফোনের সঙ্কেত বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। যে কারণে বিমান ভুল পথে যাওয়ার বা কোনও দুর্ঘটনার কব‌লে পড়ার ঘটনা ঘটতে পারে।

২. মোবাইল চালু থাকলে, তার থেকে নির্গত তরঙ্গ অন্যান্য স্থানের সঙ্গে সংযোগ করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে বিমানের রেডিয়ো স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই বিমানে উঠেই ‘ফ্লাইট মোড’ চালু করে দেওয়া জরুরি।

৩. ফোনে টুং-টাং করে সারা ক্ষণই নানা নোটিফিকেশন ঢুকতে থাকে। ‘ফ্লাইট মো়ডে’ রাখলে সে সব আর আসতে পারে না।

৪. ‘ফ্লা়ইট মোডে’ রাখার বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে একটি হল চার্জ হতে বেশি সময় না নেওয়া।

৫. বিমানে যাতায়াতের সময় ফোনটি সচল রাখা জরুরি, আবার বেশি ব্যবহার করলে চার্জও চলে যায়। ফ্লাইট মোডে রাখলে সেই অসুবিধে অনেকটাই দূর হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement