প্রতীকী ছবি।
বিয়ে মানেই সারা জীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি।
যে কোনও পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকা। অন্যের প্রতি অতিরিক্ত না ঝোঁকার কথাও জুড়ে যায় সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে। কিন্তু হাতের উপরে হাত রাখা কি সহজ কাজ? একঘেয়েমি এসেই থাকে বহু ক্ষেত্রে।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক হয়। সে তা নিয়ে নিন্দা যতই হোক। আবার পরকীয়া নিয়ে গল্প-সিনেমা যত তৈরি হোক, সমাজের চোখ রাঙানিও অঢেল।
কিন্তু এমন সম্পর্কের কোনও ভাল দিকও তো থাকতে পারে। কেউ কি ভেবে দেখেছেন? বেলজিয়ামের মনোবিদ এসথার পেরেল এমনই প্রশ্ন তুললেন। তাঁর বক্তব্য, পরকীয়ার সবচেয়ে বড় দিক হল অনুভূতি। কিছু অনুভূতির কথা মানুষ ভুলে যেতে থাকে টানা কোনও একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকলে। নতুন সম্পর্ক বিবাহিতদের ক্ষেত্রে মূলত লুকিয়ে হয়। সেই লুকোচুরির মধ্যে দিয়েই অনেক ক্ষেত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে মানুষের মন। মনোবিদদের বহু সমীক্ষায় এমন ধরা পড়েছে।
তবু তার সঙ্গে জড়িয়ে ধরে অপরাধবোধ। অনেক ক্ষেত্রে তাও কাজের হয়। ভাবতে শেখায়, যে সম্পর্কে এতদিন ধরে রয়েছেন, তার ভাল দিকও। যেমন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী জানান, বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ঘিরে অপরাধবোধ তাঁকে নতুন করে বুঝতে শিখিয়েছে, নিজের স্ত্রীর ভালবাসার জোর কত। বলেন, ‘‘আমিও বুঝেছি যে, ওকেই ভালবাসি।’’
দিল্লির মনোবিদ রাশি আহুজার বক্তব্য, যে কোনও সম্পর্কেরই একটা সুখের সময় থাকে। তার পরে তা শেষ হয়। পরকীকার ক্ষেত্রেও তা-ই। বহু দিন বিবাহিত থাকার পরে, এ সব কথা বুঝতে সাহায্য করে পরকীয়া। আর বোঝা-না বোঝার মাঝের এই সময়টায় নতুন করে প্রেমে পড়ার অনুভূতি, নতুন কাজের উৎসাহও দিতে পারে।
তার মানে কি সব পরকীয়া একই ধরনের? এমন কথাও বলছেন না মনোবিদেরা। এমন অনেক সম্পর্কই হয়, যেখানে দু’জনের মধ্যে অন্য মাত্রার যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। সে সব সম্পর্ক আলাদা। এমন মানুষকে বিয়ের বহু দিন পরে খুঁজে পেলেও জীবনের মোড় ঘোরাতে দেখা গিয়েছে। সে সব সম্পর্ক নতুন বিবাহেও পরিণত হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে।