anuttama Banerjee

র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের দায় কতটা? আলোচনায় মনোবিদ এবং মনোরোগ চিকিৎসক

অবাধ‍্যতা, স্বাধীনতা, কোথায় কতটা অনুশাসন জরুরি? যাদবপুর কাণ্ডের পর তেমন কিছু প্রশ্নও উঠে এসেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসলেন মনোবিদ এবং মনোরোগ চিকিৎসক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ২০:৪২
Symbolic Image.

অনুত্তমা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ছবি:সংগৃহীত।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত‍্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ‍্য রাজনীতি। উঠে আসছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগও। এ সময়ে দাঁড়িয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘লোকে কী বলবে’র এ সপ্তাহের পর্বে মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় কথা বললেন ‘র‍্যাগিং এবং অবাধ‍্যতা’ নিয়ে। এই পর্বে মনোবিদ একা নন, সঙ্গে ছিলেন মনোরোগ চিকিৎসক অনিরুদ্ধ দেব। এই মৃত‍্যুর ঘটনার পর অনেক চাপানউতোর এবং প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে সকলকেই। তার প্রেক্ষিতেই অবাধ‍্যতা, স্বাধীনতা, কোথায় কতটা অনুশাসন জরুরি, তেমন কিছু প্রশ্নও উঠে এসেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসলেন মনোবিদ।

Advertisement

পর্ব শুরু হল প্রশ্ন দিয়ে। একজন লিখেছেন, ‘‘আমরা তো স্বাধীনতাই বরাবর চেয়েছি। সব সময় মনে হয়েছে, অন‍্য কেউ কেন বলবেন। আমার সিদ্ধান্ত তো আমারই হবে। আমার নিজের ওই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। আমার সন্তান অন‍্য শহরের একটি বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আমার সন্তানকে যদি অন‍্য কেউ তাঁর স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেই স্বাধীনতা যদি শৃঙ্খলাবদ্ধ না হয়ে আমার সন্তানের ক্ষতির কারণ হয়, তা হলে অনুশাসনের প্রয়োজনীয়তা ঠিক কোথায় এবং কতখানি?’’ কখন বাধ‍্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা আর কখন কোনও অবাধ‍্যতা সমস‍্যার কারণ হতে পারে, এই বিভাজনরেখাটি টানব কী ভাবে? মনোবিদ প্রশ্ন রাখলেন চিকিৎসকের কাছে।

মনোরোগ চিকিৎসক বলেন, ‘‘ব‍্যক্তিগত জীবনে মেডিক‍্যাল কলেজে আমি কখনও র‍্যাগিংয়ের শিকার হইনি। তবে যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমিও পড়েছি। সেখানে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছি। তবে শুধু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়। অনেক সময় ইংরেজি মাধ‍্যম বোর্ডিং স্কুলেও এমন হয়। তবে স্কুলে যদি র‍্যাগিং হয়, সেখানে শিক্ষকদের নজরদারি আরও বেশি। তা সত্ত্বেও র‍্যাগিং হত। অর্থাৎ র‍্যাগিংয়ের মধ‍্যে কোথাও একটা প্রাতিষ্ঠানিক সম্মতি আছে। তাই প্রতিষ্ঠান দায় এড়িয়ে গেলে চলবে না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন