নতুন চুল গজানোর টোটকা! ছবি: সংগৃহীত।
শীত এলেই তটস্থ হয়ে থাকতে হয়। চুল পড়তে পড়তে না জানি পুরো মাথাটাই ফাঁকা হয়ে যায়। ঠান্ডার সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম যায়। ফলে হাত-পায়ের চামড়ার মতো মাথার ত্বকও শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই এই সময়ে অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলেন, শীতকালে চুল পড়ার সমস্যা বাড়লেও চুল গজানোর ক্ষেত্রে আবার এই সময়েই আদর্শ। কারণ, এই সময়ে মাথায় ঘাম কম হয়। তাই আয়ুর্বেদ মেনে সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে পারলে নতুন চুল গজাতেও পারে।
কোন কোন ভেষজের গুণে মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে?
১) আমলকি
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর আমলকি চুলের ফলিকল মজবুত করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। তা ছাড়া, চুলের অকালপক্বতা রোধ করতেও আমলকির জুড়ি মেলা ভার। নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকির গুঁড়ো কিংবা আমলকির রস ফুটিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) নিম
শীতকালে মাথায় খুশকির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। মাথায় এই ধরনের সংক্রমণ হলে কিন্তু নতুন চুল গজাবে না। তাই অনেকেই নিমপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নেন। আবার, নিমপাতার তেলও মাখেন অনেকে। মাথার ত্বকে যে কোনও রকম সংক্রমণ রোধ করতে দারুণ কাজ করে নিমপাতা।
৩) মেথি
চুলের জন্য প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড, এই দু’টি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেথির মধ্যে এই দু’টি উপাদান রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। চুল ঝরে পড়া রুখতে, নতুন চুল গজাতে এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে মেথি।
৪) অ্যালো ভেরা
মাথার ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই ভেষজ। মাথার ত্বকে কোনও সংক্রমণ কিংবা প্রদাহ হলে, তা নির্মূল হয় অ্যালো ভেরার গুণে। শ্যাম্পু করার পর মাথায় যদি রাসায়নিক দেওয়া কন্ডিশনার ব্যবহার করতে না চান, সে ক্ষেত্রে অ্যালো ভেরার শাঁস ব্যবহার করতেই পারেন।
৫) জবাফুল
চুলের জন্য উপকারী বিভিন্ন ভিটামিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে জবাফুলে। যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। তেলে ফুটিয়ে বা প্যাক হিসাবে ব্যবহার করা যায় জবাফুল।