প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অলিভ অয়েলে রান্না করছেন? দেশি ঘি খাওয়ার কিন্তু অনেক রকম উপকার রয়েছে। আবার মাখনও স্বাস্থ্যের পক্ষে শুধুই ক্ষতিকর, এমন কথা বলা যায় না। কিন্তু ওজন কমানোর সময়ে? কীসে রান্না করলে সবচেয়ে সুবিধা হবে?
ওজন কমাতে গেলে একদমই তেল-ঘি খাওয়া যাবে, এই ধারণা একদম ভুল। কিছু পরিমাণ ফ্যাট খাবারে রাখা অত্যন্ত জরুরি। শুধু তাই নয়, খাবারে ফ্যাট না থাকলে, আপনার শরীরের ফ্যাটও ঝরতে সময় লাগবে। তাই ফ্যাট অবশ্যই রাখুন। ভিটামিন এ, ডি এবং ই ঠিক মতো শরীরে কাজ করতে ফ্যাটের প্রয়োজন। কিন্তু জান তবে জানা দরকার কোনও ধরনের ফ্যাট খাওয়া উপকারী।
মাখন
এক চা চামচ মাখনে ১০০ ক্যালোরি এবং ১২ গ্রাম ফ্যাট থাকে। মাখন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর এই ধারণা একদম ভুল। মাখনের মতো দুগ্ধজাত খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটে থাকে, তা নিয়মিত মেপে খেলে ওবেসিটির এবং হৃদরোগের ঝুঁকি আদপে কম থাকে। কিটো ডায়েটের খাতিরে মাখনের গুরুত্ব ফের বেড়ে গিয়েছে। নানা ধরনের কিটো রেসিপিতে মাখন লাগে। ফ্যাট এবং স্বাদ— দুই-ই যোগ হয় খাবারে। ভিটামিন এ, ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ক্যালশিয়াম রয়েছে মাখনে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের গুণের কথা সকলেই জানেন। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই কিছু কিছু খাবার এই তেল মেশালে সেটা যেমন সুস্বাদু হবে, তেমনই স্বাস্থ্যকরও। অলিভ অয়েলে রয়েছে মোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ওজন কমাতে গুড ফ্যাট হিসেবে সাহায্য করে।
ঘি
খাঁটি ফ্যাট রয়েছে ঘিয়ে। তাই যাঁদের দুধে হজমের সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য ঘি খুব ভাল। যতই লোকে ভাবুক, যে ঘি খেলে মোটা হয়ে যায়, আদপে যে সত্যিটা একদম উল্টো তা এখন জানে গোটা বিশ্ব। তাই নানা রকম কিটো-পানীয়ে এখন মূল উপকরণ হয়ে গিয়েছে ঘি। রান্নায় ঘি দেওয়ার কথা এখন অনেক পুষ্টিবিদই বলেন। ভিটামিন ডি, কে এবং এ রয়েছে ঘিয়ে। হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে ঘি। ১১৫ ক্যালোরি এবং ৯.৩ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এক চামচ ঘিয়ে। তাই মাখনের মতোই মেপে খাওয়া উচিত ঘি।
কোনটা ওজন কমানোর পক্ষে ভাল
তিনটেই ‘গুড ফ্যাট’ হিসেবে ধরতে পারেন। তবে ওজন কমানোর সময়ে যে কোনও একটা বেছে নিতে হবে। আপনার জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী বেছে নিন।
যদি ও়জন কমানোই লক্ষ্য হয় তাহলে অলিভ অয়েলে রান্না করাই ভাল। মাখন বা ঘি অল্প পরিমাণে খাবারে নিতে পারেন। কারণ দুইয়েরই পুষ্টিগুণ রয়েছে।