বুড়ো আঙুলে ব্যথা হচ্ছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
স্মার্টফোনের যুগে কিপ্যাড দেওয়া ফোন ব্যবহার করা একেবারেই চলে না। চোখের সামনে দেশ-দুনিয়ার যাবতীয় ঘটনা হাতের মুঠোয়। ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে পিছিয়ে পড়তেই হয়। তাই সকাল থেকে রাত ফোন, ট্যাবের স্ক্রিনে আঙুল বুলিয়েই চলেছেন। কাজ, বিনোদন থেকে সমাজমাধ্যম— সব কিছুর জন্যই মুঠোফোন কিংবা ট্যাবের উপর ভরসা করতে হয়। সারা দিন ধরে আঙুল দিয়ে ফোনে স্ক্রল করার অভ্যাসে কিন্তু ট্রিগার ফিঙ্গারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অনন্তকাল ধরে ফোন, ট্যাবের পর্দায় আঙুল বোলানো বা স্ক্রল করার ফলে আঙুলের স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। আঙুলের নরম হাড়ের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে ট্রিগার ফিঙ্গার হতে পারে। তা ছাড়া, প্রদাহ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
ট্রিগার ফিঙ্গার কী?
ফোন স্ক্রল করতে করতে আঙুল অবশ হয়ে যাওয়া কিংবা হাতের আঙুল বা কব্জিতে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন এই প্রজন্মের অনেকেই। উপর থেকে নীচে স্ক্রল করার সময়ে অনেকেরই আঙুল ‘লক’ হয়ে যায়। অর্থাৎ, আঙুল নাড়ানোর ক্ষমতা থাকে না। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘ট্রিগার ফিঙ্গার’ বলা হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সমস্যায় পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৬ গুণ বেশি। তবে যাঁদের আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
ট্রিগার ফিঙ্গারের লক্ষণগুলি কী কী?
১) আঙুলের নমনীয়তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২) আঙুলে পিন ফোটার মতো অনুভূতি হতে পারে।
৩) আঙুলের কোনও অংশ ফুলে থাকতে পারে।
৪) ফোন স্ক্রল করতে গিয়ে হঠাৎ আঙুল লক হয়ে যেতে পারে।
৫) আবার কারও কারও ক্ষেত্রে আঙুল ভাঁজ হয়ে থাকে অনেক ক্ষণ, সোজা করতে অসুবিধা হতে পারে।