Drinking water

Toilet to Tap: শৌচাগারের জল থেকেই তৈরি হবে পানীয় জল! কিন্তু ‘অবাক জলপান’ হবে কি, চলবে সমীক্ষা

গত মাসে ব্রিটেনের জল প্রস্তুত সংস্থাগুলি জলের দাম প্রায় দশ শতাংশ বাড়িয়েছে। আর তার পরেই সরকারের তড়িঘড়ি এই গবেষণা করার সিদ্ধান্ত।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ব্রিটেন শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ১৩:১৪
ক্র্যানফিল্ড কলেজের উপর এই গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ক্র্যানফিল্ড কলেজের উপর এই গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

‘অবাক জলপান’ হবে কি না, সেটাই প্রশ্ন!

শৌচাগারের জল আদৌ জনসাধারণের কাছে পানীয় জল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে কি না— সে বিষয় জানতে এ বার গবেষণা চালাবে ব্রিটেনের সরকার। এই কাজের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫৩ হাজার পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০,৮৩,১৫৯ টাকা) বরাদ্দ করেছে। গবেষণার রিপোর্ট ইতিবাচক এলেই শৌচাগারের জলকে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটেন সরকার। মূলত ২০৫০ সালে আসন্ন জলসংকট থেকে রক্ষা পেতেই এই অভিনব ভাবনা নিয়েছে সরকার।

‘ডিপার্টমেন্ট ফর এনভায়রনমেন্ট ফুড অ্যান্ড রুরাল অ্যাফেয়ার্স (ডেফ্রা)’এর তরফে জানানো হয়েছে শৌচারারের জল পুনর্ব্যবহার করার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প তাদের দফতরে জমা পড়েছে। কোনওটার নাম ‘নিকাশী পানীয়’, কোনওটার আবার ‘টয়লেট টু ট্যাপ’। তবে সেই প্রকল্পগুলির কোনটাকেই সরকারি তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

Advertisement

গত মাসে ব্রিটেনের জল প্রস্তুত সংস্থাগুলি জলের দাম প্রায় দশ শতাংশ বাড়িয়েছে। আর তার পরেই সরকারের তড়িঘড়ি এই গবেষণা করার সিদ্ধান্ত। তবে সবটাই নির্ভর করছে জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতার উপর।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ক্র্যানফিল্ড কলেজের উপর এই গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা শৌচাগারের জল পুনর্ব্যবহার করা নিয়ে জণসাধারণের কী ভাবনা সেই বিষয় একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। শুধু তাই নয়, আম জনতার সামনে এই প্রস্তাব কী ভাবে তুলে ধরা হবে, সেই নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে ক্র্যানফিল্ড কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

আশা করা হচ্ছে এই বছর নভেম্বর মাসের মধ্যেই এই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের বিস্তারিত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা করবে।

২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া কলেজের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, শৌচাগারের জল সঠিক উপায়ে পরিশোধিত করা হলে তা বোতলের পানীয় জলের মতোই সুস্বাদু হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement