Work Pressure Handle Tips

পেশাগত ব্যস্ততায় দিনের সিংহভাগ সময় কেটে যায়? কাজ কমিয়ে নিজেকে সময় দেবেন কী ভাবে?

শুধু তো কাজ নয়, সহকর্মী ও সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়াও সহজ নয়। তবে অফিসে চাপ থাকবেই। কিন্তু কী ভাবে কাজ করলে মানসিক ভাবে তরতাজা থাকবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০২
শত ব্যস্ততাতেও নিজেকে সময় দিন।

শত ব্যস্ততাতেও নিজেকে সময় দিন। ছবি: সংগৃহীত।

দিনের সিংহভাগ সময় কাটে কর্মক্ষেত্রে। ফলে কাজের চাপ আর অত্যধিক ব্যস্ততা হয়ে ওঠে রোজের সঙ্গী। আর সেখান থেকেই ধকল, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সোশ্যাল সায়েন্স’-এর সমীক্ষা জানাচ্ছে, ভারতে কর্মক্ষেত্রে কাজের অত্যধিক চাপ সামলাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ। আর এই প্রবল চাপ ক্ষতি করছে ব্যক্তিগত ও সাংসারিক জীবনেও। শুধু তো কাজ নয়, সহকর্মী ও সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়াও সহজ নয়। তবে অফিসে চাপ থাকবেই। কিন্তু কী ভাবে কাজ করলে মানসিক ভাবে তরতাজা থাকবেন?

Advertisement

কাজের পরিকল্পনা

দিনের শুরুতেই ঠিক করে নিন কোন সময় ঠিক কোন কাজটা করবেন। তবে দিন গড়নোর সঙ্গে সঙ্গে হাতে একাধিক নতুন কাজ আসতেই থাকে। এক এক করে নোট করে রাখুন সেই সব কাজের তালিকা। এ বার কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ঠিক করে নিন কোনটা আগে সারবেন।

সময়ে কাজ শেষ করুন

জমে থাকা অতিরিক্ত কাজের চাপই আপনার ধকল আর দুশ্চিন্তার মূলে। প্রতি দিনের কাজ সে দিনই সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। অহেতুক কাজ জমিয়ে রেখে দেবেন না। আর খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে অফিসের কাজ বাড়ি নিয়ে যাবেন না। বাড়িতে যেটুকু সময় পাচ্ছেন, তা একান্তই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটান।

মাঝেমাঝে বিরতি নিন

অনেকেই ভাবেন, একটানা বসে কাজ করে গেলে সময়ে কাজ শেষ হয়। তাই তাঁরা জায়গা ছেড়ে খুব একটা ওঠেন না। এই ধারণায় সায় নেই মনোবিদদের। বরং তাঁদের মতে, এক-দু’ঘণ্টা অন্তর নিজের জায়গা ছেড়ে উঠুন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলুন, কয়েক পা হেঁটে আসুন। এতে একটানা বসে থাকার বদভ্যাস থেকেও কিছুটা ছাড় মিলবে, কাজের গতিও ফিরবে এতে।

আরও পড়ুন
Advertisement