খুদেকে মনোযোগী করে তোলার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
মনঃসংযোগ ছাড়া পড়াশোনা অসম্ভব। কিন্তু, বহু ক্ষেত্রেই সন্তানের অন্যমনস্ক হাবভাব চিন্তায় ফেলে দেয় অভিভাবকদের। মনঃসংযোগের অভাবের প্রতিফলন দেখা যায় পরীক্ষার ফলেও। তা নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে সন্তানের অন্যমনস্কতা কাটবে সহজেই।
১) সন্তান যখন কোনও কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন ঠিক কোন পর্যায়ে এসে সে মনঃসংযোগ হারাচ্ছে, তা লক্ষ করুন। বুঝে নিন, কোন কাজে সে বেশি আগ্রহী। তার আগ্রহ ও অমনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রগুলো বুঝলে সহজেই তার সমস্যাগুলিও বুঝতে পারবেন। সন্তানের মনঃসংযোগ বাড়াতে কোনও মনোবিদের সাহায্য নিতে হলে আপনার এই নজরদারি কাজে আসবে।
২) সন্তান যখন কোনও জরুরি কাজ বা লেখাপড়ায় ব্যস্ত, তখন তার সামনে বসে টিভি দেখা, গান শোনা অথবা মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন। মনোবিদদের মতে, এ সব ছোটদের মনঃসংযোগ নষ্ট করে। বরং সে সময় নিজেও কোনও বই পড়ুন অথবা সেলাইফোঁড়াই, লেখালিখি করুন— যাতে শিশুর চারপাশে একটি সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে।
৩) অনেক অভিভাবক সন্তানের দুরন্তপনা সামলাতে তার হাতে মোবাইল তুলে দেন। নিজেরাই তাকে মোবাইল ব্যস্ত রাখেন। চিকিৎসকদের মতে, এতে তো ভাল কিছু হয়ই না, বরং এটি শিশুর মস্তিষ্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। মোবাইলে দেখা বাস্তবতার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে তাদের মস্তিষ্কের কোষগুলি অতি সক্রিয় হয়ে পড়ে, যাতে একটানা কিছুতে মন বসানোর অভ্যাস কমে।
৪) বড় কোনও কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে দিন। এতে সন্তানের উপর চাপ পড়বে না, সে সহজেই কাজটি পালন করতে পারবে। দরকারে আপনিও সেই কাজে তাকে সাহায়্য করুন। সন্তানকে বাড়ির হালকা কিছু কাজ করতে দিন। তাকে বুঝতে দিন, এই কাজটা তারই, তাকেই করতে হবে। এতে দিনে দিনে কাজের গুরুত্ব বুঝে সে মনোযোগী হয়ে উঠবে।