ছবি: সংগৃহীত।
প্রাতঃকৃত্য সারতে অনেক সময় লাগে। ফলে অফিসে যেতেও দেরি হয়। এই নিয়ে রোজই হাসিঠাট্টা চলে, কখনও বা অভিযোগ শুনতে হয়। তবে সমস্যা থাকলেও তা নিয়ে চট করে কেউ মুখ খোলেন না। চিকিৎসকের কাছে যেতেও আড়ষ্ট বোধ করেন অনেকে।
জল কম খাওয়া, তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়া, এমনকি আবহাওয়ার হেরফেরেও এই ধরনর সমস্যা বেড়ে যায়। ইসবগুলের ভুসির প্রভাবও একটা সময়ে ফিকে হয়ে আসে। শেষমেশ ওষুধের উপরেই ভরসা করতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়াও কাজের কথা নয়। তবে গ্যাস্ট্রোএন্ট্রেলজিস্ট, নেটপ্রভাবী চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি বলছেন, এই ধরনের সমস্যা সমাধানে তিনি তাঁর রোগীদের তিন ধরনের বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেগুলি কী কী?
১) কালো তিল:
তিসি বা চিয়ার মতো জনপ্রিয় নয় বলে হয়তো কালো তিল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। রান্নাতেও সাদা তিলের প্রাধান্য বেশি। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কালো তিলে যে হেতু ফাইবারের পরিমাণ বেশি, তাই অন্ত্রের জন্য ভাল। কালো তিলে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণও বেশি। এই খনিজটি অন্ত্রের পেশি শিথিল রাখে।
২) তিসি বীজ:
অন্ত্র ভাল রাখতে ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসি বীজ একাই একশো। এই তিসি যে হরমোনের হেরফের সামাল দিতে পারে, তা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া তিসিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের পাশাপাশি প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
৩) চিয়া বীজ:
দেহের ওজন সম্পর্কে সচেতন, বুঝে খাবার খান। অথচ চিয়া বীজের নাম শোনেননি, এমন মানুষ প্রায় নেই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আকারে ছোট হতে পারে কিন্তু এই বীজের গুণ অনেক। প্রায় বিন্দুর মতো ছোট এই বীজের জলধারণ করার ক্ষমতা অন্যান্য বীজের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। তাই শরীরে জলের ঘাটতি হলেও ‘বাওয়েল মুভমেন্টে’ সমস্যা হয় না।