শেষপাতে মুখমিষ্টি করতে চাই নলেন গুড়ের আইসক্রিম। ছবি- সংগৃহীত
জাঁকিয়ে ঠান্ডা আর নলেন গুড়ের গন্ধ ছাড়া যেমন পৌষ মাস হয় না, তেমনই গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশ, পায়েস, মোয়া ছাড়া মিষ্টির কথা ভাবাই যায় না। খাওয়ার শেষে মুখমিষ্টি করার রেওয়াজ নতুন নয়। পুরনো ধ্যানধারণার মানুষ থেকে ‘জেন জ়েড’— কেউই এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাদে বদল ঘটেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তরুণ প্রজন্ম নতুন নতুন খাবার চেখে দেখার ব্যাপারে যেমন উৎসাহী, তেমনই খাবার নিয়ে বিভিন্ন রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করতেও আগ্রহী। যে মরসুমে যেমন জিনিস পাওয়া যায়, তেমন বিশেষ বিশেষ জিনিস দিয়ে বিভিন্ন পদের সম্ভার দিয়ে সাজানো থাকে রেস্তরাঁর ‘মেনু’।
শীত চলে যাওয়ার আগে তাই কোন তিনটি খাবার চেখে দেখতেই হবে?
১) নলেন গুড়ের আইসক্রিম
যদিও আইসক্রিম বিষয়টির সঙ্গে গরমকালের যোগ বেশি। তবু ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে হাতে আইসক্রিম দিলে কি আর না খেয়ে থাকতে পারবেন? তা-ও যদি আবার নলেন গুড়ের আইসক্রিম হয়, তা হলে তো কথাই নেই। সাধারণ ভ্যানিলা আইসক্রিমের সঙ্গে খাঁটি নলেন গুড় বা পাটালি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবার। গুড় যত ভাল হবে, স্বাদ তত মুখে লেগে থাকবে। ইদানীং প্রায় সব রেস্তরাঁতেই নলেন গুড়ের আইসক্রিম পাওয়া যায়।
২) নলেন গুড়ের কেক
কেক বিষয়টি যদিও ভারতীয় নয়। তার মধ্যে দেশি গুড়ের ব্যবহার করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন ছোট ছোট কেক ব্যবসায়ীরা। প্রচলিত কেকের দোকানে এমন নলেন গুড়ের ‘ফিউশন’ কেক পাওয়া না গেলেও সমাজমাধ্যমে এমন বহু ব্যবসায়ী রয়েছেন, বরাত দিলে যাঁরা এই ধরনের কেক বানিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
৩) নলেন গুড়ের সুফ্লে
নামেই বুঝতে পারছেন ইনি খাঁটি ফরাসি। সেই প্রচলিত মিষ্টির সঙ্গে গুড় মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই মিষ্টি। যার পরতে পরতে সাজানো থাকে গুড় মেশানো ছানা এবং ফেটানো ক্রিম। উপর থেকে ছড়ানো থাকে পাতলা খেজুর গুড়। শহরের অনেক মিষ্টির দোকানেই পাওয়া যায় নলেন গুড়ের সুফ্লে। এক বার খেলে ভুলতে পারবেন না তার স্বাদ।