Interesting Activities

৩ কাজ: যাতায়াতের পথে সহযাত্রীর ফোনে খোলা হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট না পড়ে করতে পারেন

সপ্তাহান্তে একটি দিন নিজের দিকে তাকানোরই সময় পান না। তা হলে নতুন কিছু করার ফুরসত মিলবে কী করে? আর যদি সময় পাওয়াও যায়, তা হলে করবেনই বা কী?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ২০:৫৩
Three interesting activities for people travelling to and from work via public transport to kill the time

—প্রতীকী চিত্র।

শেখার কোনও শেষ নেই। সেই অর্থে বয়সের গণ্ডিতেও শেখার পরিধি বেঁধে ফেলা যায় না। তাই ঘরে-বাইরে কাজ করার ফাঁকেও নিজের শখ, ইচ্ছেপূরণের পাশাপাশি নতুন কিছু শিখতে উৎসাহ দেন অভিজ্ঞরা। এমন কিছু জিনিস, যা নিজেদের মন এবং মস্তিষ্কের উন্নতি সাধনে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হল সময়। ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করে, যাতায়াতে আরও ঘণ্টা দুয়েক রাস্তায় কাটিয়ে বাড়ি গিয়ে রান্নাবান্না করতে হয়। তার বাইরে যেটুকু সময় থাকে, তা পরিবারের মানুষগুলির সঙ্গে দুটো কথা বলতেই চলে যায়। সপ্তাহান্তে একটি দিন নিজের দিকে তাকানোরই সময় পান না। তা হলে নতুন কিছু করার ফুরসত মিলবে কী করে? আর যদি সময় পাওয়াও যায়, তা হলে করবেনই বা কী?

Advertisement

মনোবিদেরা বলছেন, ব্যস্ত জীবনে কাজ এবং বা়ড়ি সামলে আলাদা করে সময় বার করা সত্যিই খুব কষ্টকর। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। যাতায়াতের পথে যদি বাসে, ট্রেনে একটু বসার জায়গা জোগাড় করতে পারেন, তা হলে পাশে বসা অন্য সহযাত্রীটির ফোনের দিকে না তাকিয়ে কয়েকটি কাজের অভ্যাস কিন্তু সহজেই করে ফেলতে পারেন।

১) অডিয়ো বুক

আগে গল্পের বই পড়ার নেশা ছিল। এখন সময়ের অভাবে পড়াশোনার থেকে শতহস্ত দূরে চলে গিয়েছেন। চিন্তা নেই। কানে ইয়ারফোন গুঁজে গল্প শুনতে পারেন। ইউটিউব বা পডকাস্টে এমন অনেক নামী, অনামী লেখকের গল্পের সম্ভার রয়েছে। যাতায়াতের পথে হাতে বই নিয়ে অন্যের অসুবিধার কারণও হতে হবে না। চাইলে শুনতে শুনতে একটু পাওয়ার ন্যাপও নিয়ে নিতে পারেন।

২) নতুন ভাষা

বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজির বাইরেও অনেক ভাষা রয়েছে। ইচ্ছা থাকলে সেই সব ভাষা কাজে যাওয়া-আসার পথেই সেগুলি শিখে ফেলতে পারেন। ঊর্দু শব্দের মানে বুঝে গজ়ল শোনেন। তা হলে গান আর শুধু শোনার মধ্যে আবদ্ধ থাকবেন না। হৃদয়ে প্রোথিত হয়ে যাবে।

৩) পরের দিনের পরিকল্পনা

বিদ্যুতের বিল দেওয়া থেকে জীবনবীমার প্রিমিয়াম দেওয়া, বাড়ির প্রতিটি ছোটখাট জিনিসের পরিচর্যা— সবই হয় আপনার তত্ত্বাবধানে। কত মাস অন্তর, কোথায়, কত টাকা দিতে হবে, কার অ্যাপয়নমেন্ট নিতে হবে এই সমস্ত পরিকল্পনা আগে থেকে না করে রাখলে একা হাতে সবটা সামাল দেওয়া মুশকিল। প্রতি দিনই ভাবেন কাজ থেকে ফিরে সব করে ফেলবেন কিন্তু শরীর সায় দেয় না। যাতায়াতের পথে যানজটে আটকে অনেকটা সময় নষ্ট হয়, সেই সময়টুকু কিন্তু এই কাজে সহজেই লাগাতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement