ভাবা প্র্যাক্টিস করছেন? ছবি: সংগৃহীত।
ব্যক্তিগত জীবন কিংবা পেশাগত জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে, যা রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। রাত ফুরোলেই যে, সব আবার আগের মতো হয়ে যায় এমনটাও নয়।
কিছু কিছু ঘটনার অভিঘাত হয় সুদূরপ্রসারী। প্রভাব কত দূর বা তার ফলে কী কী হতে পারে, সে সব আগে থেকে ভেবে রাখলে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে সুবিধা হয়। তবে, তা নিয়ে অহেতুক চিন্তা করা কিন্তু একেবারেই কাম্য নয়।
মনোবিদেরা বলছেন, যে কোনও বিষয়ে চিন্তা করা আসলে মস্তিষ্কের ঘাম ঝরানো। তাতে সমস্যার কিচ্ছু নেই। তবে চিন্তার ‘অ্যাক্সিলেরেটর’ যেমন থাকবে, তেমন ‘ব্রেক’টাও যেন নিজের হাতে থাকে।
এটি আসলে একটি অভ্যাস। এক দিনে তা নিজের মুঠোয় আনা সহজ নয়। নিজেকে নিয়ে, নিজের কাজ নিয়ে সন্দেহ থাকলে, ভাবনার উপর লাগাম টানা যাবে না। উল্টে অবসাদ, উদ্বেগ এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। তবে, ভাবা প্র্যাকটিস করার পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে তা কখনওই বোঝা বলে মনে হবে না।
১. যে কাজই করুন না কেন, তা মন দিয়ে করার চেষ্টা করবেন। বই পড়ার মাঝে যেন সকালে বাজার করতে গিয়ে কত টাকা খরচ হল, সেই চিন্তা উঁকি না দেয়। সে খেয়াল রাখতে হবে।
২. একটানা কোনও কাজ করে যাবেন না। তাতে একঘেঁয়েমি আসতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করার পর মনের মতো না হলে তা থেকে উদ্বেগজনিত সমস্যা শুরু হতে পারে। তার চেয়ে বরং কাজের মাঝে বিরতি নিন। খুব বেশি ক্ষণ নয়, মিনিট পাঁচেকের জন্য হলেও চলবে। তাতে কাজের মানও ভাল হবে। উল্টোপাল্টা চিন্তাও উড়ে এসে জুড়ে বসবে না।
৩. যা মনে হচ্ছে সেগুলি লিখতে শুরু করুন। নিজের আবেগ, অনুভূতি, ভাল লাগা, খারাপ লাগার কথা মনে চেপে রাখলে কষ্ট বাড়বে। বিশ্বাস করে কাউকে মনের কথা বলতে না পারলে মাথায় নানা রকম চিন্তা আসবে। তাই লিখে ফেলাই ভাল।
৪. যা বাস্তবে সম্ভব, তেমন ভাবনাকেই প্রশ্রয় দিন। সাধ তো অনেক কিছু থাকতেই পারে। কিন্তু তা সাধ্যের মধ্যে রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি। তাই অবাস্তব কিছু কল্পনা করে মাথায় বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।
৫. মন-মেজাজ ভাল না থাকলে মাথার মধ্যে নানা রকম অযৌক্তিক চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। দুর্বল মুহূর্ত থেকে ভয়ের উদ্রেক হয়। তাই নেতিবাচক চিন্তা মাথায় এলেও তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন না।