অ্যাপ্ল ওয়াচের কেরামতি। ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করা বেশির দিকেই। তাই খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সবই করতে হয় নিয়ম মেনে। ডায়াবিটিস রোগীদের মূল সমস্যা হল, রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ ওঠানামা করা। সেই অনুযায়ী ওষুধের মাত্রাতেও হেরফের করতে হয়। কিন্তু কী কারণে তা হঠাৎ কমে যাবে বা কী করলে হঠাৎ বেড়ে যাবে, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা মুশকিল। প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু চিকিৎসার প্রয়োজনেই দিনের কোন সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকে, তার স্পষ্ট ধারণা রাখতে বলেন চিকিৎসেকরা। বাড়ি বসে আঙুলের ডগায় সুচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা যায়, এমন কিট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাঁরা। তবে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বা দুপুরে খাওয়ার পরে হাতে সুচ ফোটানোর কাজটি করতে ভাল লাগে না অনেকেরই। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য অ্যাপ্ল ওয়াচ-এ রয়েছে বেশ কিছু ফিচার। যা রক্তে শর্করার মাত্রা থেকে হার্ট রেট— সবই জানান দিতে পারে।
১) রক্তে শর্করার মাত্রা
অ্যাপ্ল ঘড়ি সরাসরি রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা নির্ধারণ করতে না পারে না। তবে, সর্ব ক্ষণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এমন যন্ত্রের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে পারলে থার্ড পার্টি হিসাবে সেই কাজটি অনায়াসেই করে ফেলতে পারে। ফলে ‘রিয়েল-টাইম’ বা সেই সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন রয়েছে তা ঘড়িতে ফুটে ওঠে। প্রতি দিন আঙুলের ডগায় সুচ ফোটাতে হয় না।
২) শারীরিক সক্রিয়তা
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সারা দিনে কত পা হাঁটলে, কতটা ক্যালোরি পুড়বে, তার হিসাব রাখাও জরুরি। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন বার্তা ব্যবহারকারীকে পাঠাতে থাকে হাতে থাকা অ্যাপ্ল ঘড়িটি।
৩) হৃদ্স্পন্দনের হার
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হার্ট রেট ভেরিয়াবিলিটি বা ‘এইচআরভি’র যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। হৃদ্স্পন্দনেরও নিজস্ব একটি ছন্দ রয়েছে। সেই ছন্দে যদি কোনও রকম অসঙ্গতি নজরে পড়ে, তা জানান দিতে পারে অ্যাপ্ল ঘড়ি।