প্রতীকী ছবি।
কেউই বিচ্ছেদের কথা ভেবে বিয়ে করেন না। সম্পর্ক যাতে সুন্দর হয়, সে চেষ্টাও নিজের মতো করে করেন অধিকাংশে। তবু হাজার চেষ্টার পরেও অনেক সম্পর্কই সুখের হয় না। তখন নিজেদের পথ আলাদা করেও নিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আগে আরও কয়েকটি বিষয় মনে রাখতে পারেন। দাম্পত্যে সমস্যা হলেই যে সব সময়ে বিচ্ছেদ খুব সহজ হয়, তেমন তো নয়। একটি সম্পর্কের সঙ্গে আরও কত কী যে জড়িয়ে থাকে!
কী করা যেতে পারে?
১) কাউন্সেলিং: মতের মিল না-ই হতে পারে। কিন্তু কোনও দম্পতির সন্তান থাকলে, তাদের কথাও যে ভাবতে হয়। সে সময়ে এ বিষয়ে কোনও পেশাদারের পরামর্শ নেওয়া যেতেই পারে। যাতে একে-অপরের সঙ্গে আপস করার চেষ্টা থাকে। যদি তার পরেও বিয়ে ভাঙতে হয়, অন্তত মনে থাকবে যে সব রকম চেষ্টা করেছিলেন। আগে যদি কাউন্সেলিংয়ের কথা না ভেবে থাকেন, এ বার ভেবে দেখুন।
২) আলাদা থাকা: আইনত বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটার আগে আলাদা সংসার করে দেখতে পারেন। একসঙ্গে থাকতে গেলে যেমন অনেক রকম সমস্যা হয়, তেমন আলাদা থাকতে গেলে নতুন সঙ্কটও দেখা দেয় বহু ক্ষেত্রে। তখন মনে হতেই পারে নিজেদের মধ্যের কিছু সমস্যা মিটিয়ে একসঙ্গে পথ চলা তুলনায় সুবিধাজনক। তা না-ও হতে পারে। তখন না হয় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরের ধাপে যাবেন।
৩) আদালতে নয়: বিচ্ছেদের পথে যদি হাঁটতেও হয়, তা যত সম্ভব সহজে করুন। তাতে নিজেদের এবং সন্তানের মনের উপর কম প্রভাব পড়বে। আদালতে না গিয়ে, দু’জনে কিছু বিষয়ে এক মত হলে আইনজীবীই সেই বিচ্ছেদ করিয়ে দিতে পারেন।
৪) প্রস্তুতি: বিয়ে ভাঙা সহজ নয়। কয়েক বছর একসঙ্গে থাকলে নানা দিক থেকে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে যান দম্পতি। তার উপর থাকে সন্তানদের মানসিক পরিস্থিতি। সবটা সামলানো যায় বিবাহ বিচ্ছেদের আগে থেকে যদি সচেতন ভাবে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া যায়। নিজেদের এবং সন্তানদের মন শক্ত করা তার মধ্যে অন্যতম। সম্পত্তি এবং রোজের জিনিসপত্রের ভাগাভাগির বিষয়েও আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া জরুরি।