Workload management

অফিসে দম ফেলার সময় নেই? সময়ে শেষই হচ্ছে না কাজ, কী উপায়ে পরিস্থিতি সামলাবেন?

ছোট-বড় যে কোনও সংস্থায় কাজের চাপ থাকবেই। সেখানকার সহকর্মী ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, উন্নতির প্রতিযোগিতাও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সে জন্যই প্রয়োজন ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৫৮
The 5 step guide to workload management

পাহাড়প্রমাণ কাজের বোঝা সামলানোর সহজ টোটকা জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।

অফিসে কাজের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে? সকাল থেকে রাত অবধি মাথা তোলারই সময় নেই। কর্মজীবনের এই প্রবল চাপ ব্যক্তিগত ও সাংসারিক জীবনেও প্রভাব ফেলছে। ছোট-বড় যে কোনও সংস্থাতে কাজের চাপ থাকবেই। সেখানকার সহকর্মী ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, উন্নতির প্রতিযোগিতাও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সে জন্যই প্রয়োজন ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’। একটু বুদ্ধি করে চললেই কাজের ব্যস্ততাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মনের চাপও কমবে। কী কী সেই উপায় রইল তার হদিস।

Advertisement

কাজ জমিয়ে রাখা যাবে না। ছোট ছোট কাজ পরের জন্য ফেলে রাখলে তাই একসময়ে পাহাড়প্রমাণ হয়ে জমে যাবে। তখন রোজের কাজের সঙ্গে ফেলে রাখা কাজ জুড়ে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হবে। তাই সময়ে কাজ শেষ করতেই হবে। যা যা কাজ হাতে রয়েছে, তার তালিকা বানিয়ে নিন। যেটি আগে দরকার সেরে ফেলুন। অন্যগুলি সময়ান্তরে করতে থাকুন। যে দিনের কাজ, সে দিনেই শেষ করার চেষ্টা করলে উদ্বেগ হবে না।

সময়সাপেক্ষ কাজগুলিকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। কোনটির জন্য কত সময় লাগা উচিত, তা-ও ভেবে রাখুন। মনে না থাকলে, লিখে নিন। সেই মতো কাজ এগিয়ে নিয়ে যান।

কঠিন কাজ পরে করার জন্য ফেলে রাখলেই মুশকিল। তাতে সময়ও অতিরিক্ত লাগবে এবং চিন্তা-উৎকণ্ঠাও বাড়তে থাকবে। কাজটি যে সময়ে শেষ করতে হবে তার অনেক আগে থেকেই তা শেষ করার চেষ্টা করুন। বুঝতে না পারলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিন। নিজের ভাবনা ও পরিকল্পনাও জানিয়ে রাখুন আগে থেকেই।

‘টিম ম্যানেজমেন্ট’ খুব জরুরি। সহকর্মী ও বসের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন, তা-ও প্রভাব ফেলে কাজের উপর। যদি অনেকে মিলে কাজ হয়, তা হলে প্রত্যেকে নিজের নিজের অংশ নিয়ে আলোচনা করে নিন। কে কোন কাজ করবেন, কতটা করবেন এবং কখন তা শেষ করবেন, তার নির্দিষ্ট তালিকা থাকা জরুরি। প্রয়োজনে আপনি কী কী কাজ করছেন তা বিশদে লিখে বসকে পাঠিয়ে রাখুন। তা হলে তাঁর কাছেও ছবিটা পরিষ্কার থাকবে। পরে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে অশান্তি বা মনোমালিন্যের পরিবেশ তৈরি হবে না।

মেশিনের মতো কাজ করবেন না। প্রত্যেকেরই কর্মদক্ষতা ও কাজ করার ক্ষমতা আলাদা। আপনার জন্য যতটা বরাদ্দ, তাই মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করলে ভাল। নিজের দায়িত্বের প্রতি সৎ থাকলে অতিরিক্ত বোঝা কাঁধে চাপবে না।

আরও পড়ুন
Advertisement