প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই সপ্তাহে একদিন নিরামিষ খান। হয় ধার্মিক বিশ্বাসের কারণে কিংবা স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে। কিন্তু অনেকেই না বুঝে বেশ কিছু আমিষ খাবার খেয়ে ফেলেন। বাজারে তৈরি প্যাকেজ্ড খাবারে কিংবা রেস্তোরাঁর অনেক নিরামিষ পদেও অনেক সময় কিছু আমিষ লুকোনো থাকে। সেই খাবারগুলি চিনে রাখুন।
ভেজিটেবল স্যুপ
ভাবছেন সুইট কর্ন স্যুপ কিংবা অনিয়ন স্যুপ খেলে নিরামিষ স্বাস্থ্যকর খাবার পেটে যাচ্ছে? ভাল করে যাচাই করে নিন। অনেক রেস্তোরাঁতেই ভেজিটেবিল স্যুপেও চিকেন ব্রথ দেওয়া হয়। বেশ কিছু চাইনিজ বা তিব্বতি রেস্তোরাঁয় বিফ ব্রথও ব্যবহার করা হতে পারে। প্যাকেটের ‘রেডি টু ইট’ স্যুপের ক্ষেত্রে এটি হয়েই থাকে। তাই কেনার আগে ভাল করে পিছনে লেখা উপকরণগুলি প়ড়ে নেবেন।
সিরিয়াল
অনেক মিষ্টি সিরিয়াল তৈরি হয় জেলাটিন দিয়ে। জেলাটিনের নাম শুনে ভাবছেন ক্ষতি কী? তবে জেনে রাখুন, জেলাটিন তৈরি করতে বেশির ভাগই ব্যবহার হয় পশুপাখির ত্বক বা পায়ের ক্ষুর থেকে।
মিন্টের ক্যান্ডি
সে কী! মিন্ট চুয়িং গাম বা ক্যান্ডিতেও আমিষ? বেশ কিছু ক্যান্ডি বা গামের মূল উপকরণ থাকে জেলাটিন
নান রুটি
বহু ময়দার তৈরি রুটি, পরোটা, টরটিলা রুটি, পিৎজা বেস বা পাইয়ে ডিম মেশানো থাকে। নিরামিষ খাওয়ার খাবেন বলে বাটার নান আর পনির মসালা অর্ডার করলেন। নিশ্চিত থাকুন আপনার তুলতুলে নান রুটি মাখার সময়ে তাতে ডিম পড়েছে।
ভিটামিন
কোলাজিনের ট্যাবলেট বা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ওষুধ যে মাছের তেল ব্যবহার করা হয়, তা এখন অনেকেরই জানা। তা ছাড়াও বেশ কিছু ভিটামিন সাপ্লিমেন্টে কোনও না কোনও আমিষ ব্যবহার করা হয়।
প্রসেস করা সুগার
প্রসেস করা সুগার নানা ভাবে আমরা খেয়ে থাকি। কেক প্যাস্ট্রির মধ্যে বা অন্য কোনও ‘রেডি টু ইট’ খাবারে নানা রকম রিফাইন্ড সুগার ব্যবহার হয়। বেশির ভাগ সুগারই রিফাইন করার সময়ে একটি উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যার নাম বোন চার। এই বোন চার তৈরি হয় গরুর হার ঝলসানোর পর। তবে অনেক চিনির সংস্থাই জানিয়েছে তারা কোনও রকম আমিষ ব্যবহার করে না চিনি তৈরির পদ্ধতিতে।
পার্মেসান চিজ
দুধ থেকে অনেক পরিমাণে চিজ তৈরির পদ্ধতিটা খুব একটা সহজ নয়। তাই সুবিধার জন্য অনেক সংস্থাই রেনেট বলে একটি উপকরণ ব্যবহার করে। এটি বাছুরের পেট থেকে তৈরি হয়। অনেকেই সংস্থাই অবশ্য এই পদ্ধতি চেপে যায়।
পেস্তো সস
পার্মেসান চিজ দিয়েই মূলত তৈরি হয় পেস্তো। তাই রেস্তোরাঁয় গিয়ে পেস্তো পাস্তা অর্ডার করলে আমিষ পদ খেয়ে ফেলতেই পারেন।
ভ্যানিলা আইসক্রিম
আইসক্রিমেও আমিষ? অনেক সংস্থা যাঁরা কৃত্তিম পদ্ধতিতে তৈরি ভ্যানিলা ফ্লেভার ব্যবহার করতে চায় না, তারা ক্যাস্টোরিয়াম বলে একটি পদার্থ ব্যবহার করেন, যার গন্ধ অনেকটাই ভ্যানিলার মতো। এই পদার্থ আদপে এক ধরনের বাদামি রঙের তরল যা অনেক ভাল্লুক জাতীয় প্রাণী নিজেদের এলাকা চিহ্নিত করতে ব্যবহার করে। আমেরিকার এফডিএ এই পদার্থকে সুরক্ষিত ঘোষণা করেছে। তাই ব্যবহারে ক্ষত নেই। তবে আপনার আইসক্রিম প্রকৃত অর্থে নিরামিষ থাকল কি না, তা তর্ক সাপেক্ষ।
ক্যান্ডি
যাঁরা ম্যানিকিওর করেন, তাঁরা জানেন, নখের উপর একটি বিশেষ তরল লাগিয়ে দেওয়ার পর নখ চকচক করে। শক্ত চকচকে ক্যান্ডির কোটিং হিসাবেও এটি ব্যবহার করা হয়। এর নাম শেলাক যা এক ধরনের পোকা থেকে তৈরি!