সব্জি কী ভাবে ধোবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
শীতের মরসুমের রকমারি সব্জি স্যালাড হিসাবে খান? তবে পুষ্টিগুণে ঠাসা এই সব্জি কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। শাক এবং সব্জিতে লেগে থাকা বালি, মাটি এবং রোগজীবাণু খাবার সঙ্গে শরীরে গেলে পেটখারাপ অবধারিত। তাই স্বাস্থ্যকর ভেবে যে খাবার খাচ্ছেন, তা যাতে সত্যি স্বাস্থ্যের উপযোগী হয় তা নিশ্চিত করা দরকার। কী ভাবে ধুয়ে নেবেন শীতের শাকসব্জি।
১. কল থেকে পড়তে থাকা জলে সব্জি ভাল ধোয়া হয়। তবে এতে ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হলেও চাষের কাজে সার হিসাবে ব্যবহৃত রাসায়নিক কিন্তু লেগে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে একটি গামলায় জল নিয়ে সব্জি কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২. এক গামলা জলে ১ টেবিল চামচ নুন মিশিয়ে নিন। সেই জলে সব্জি কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে রোগজীবাণু নষ্ট হবে। তবে পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস কাঁচা খেতে হলে প্রতিটি পাতা, অংশ আলাদা ভাবে ধুতে হবে। পালং শাকে অনেক সময় বালি থেকে যায়। ঠিক করে না ধুলে রান্নাতেও সেই বালি টের পাওয়া যায়।
৩. ৩ ভাগ জলের সঙ্গে ১ ভাগ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। তাতে গাজর থেকে রকমারি শাকসব্জি মিনিট দশেক ভিজিয়ে তার পর পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন।
৪. গামলায় জল নিয়ে তাতে কিছুটা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এই জলে সব্জি ভিজিয়ে রাখলেও সব্জি ভাল পরিষ্কার হবে। ফুলকপিতে থাকা পোকামাকড় বেরিয়ে যাবে। তবে বেকিং সোডা মেশানো জল থেকে তুলে, পরিষ্কার জলে সব্জি ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
৫. জলে কিছুটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে তাতে সব্জি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতেও সব্জিতে থাকা রাসায়নিক, কৃত্রিম রং ধুয়ে যাবে।
সব্জি ধোয়ার পর তা ফ্রিজে রাখতে হলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। না হলে কাপড় দিয়ে জল মুছে নিন। ভিজে সব্জি ফ্রিজে ভরলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।