Banana

সকালের জলখাবারে কলা না হলে চলে না, এই ফল খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে কি?

ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ কলা, শরীরে বিবিধ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০০
Image of Banana

বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ কলা, শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতিও পূরণ করে। ছবি: সংগৃহীত।

ওট্স, কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি, রুটি কিংবা মুড়ি— সকালের জলখাবারে যা-ই থাকুক না কেন, কলা থাকা ‘মাস্ট’। প্রথমত, অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে কলা। দ্বিতীয়ত, শীতে জল কম খাওয়া হয় বলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় অনেকের। তা নিরাময় করে কলা। তৃতীয়ত, কলার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ এই ফল শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

Advertisement

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কলার গুণাগুণ:

১) কলা ফাইবারে ভরপুর। ফলে তা হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে। অন্ত্রে থাকা ‘ভাল’ ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।

২) পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের যুগলবন্দি অস্টিয়োপোরোসিস-এর মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখে। হাড়ের জোর বাড়িয়ে তোলে। অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় রাখতেও সাহায্য করে কলা।

৩) খুব ক্লান্ত লাগলে তৎক্ষণাৎ ‘এর্নাজি ড্রিঙ্ক’ না খেয়ে কলা খেতে পারেন। কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ শরীরে পুষ্টি জোগায়। শীতের ধূসর বিকেল যদি অবসাদ ডেকে আনে, তৎক্ষণাৎ একটি কলা খেয়ে ফেলতে পারেন।

তবে অনেকেই মনে করেন, ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে নাকি কলা খাওয়া যায় না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নানা রকম ফলের মধ্যে কলা ‘ঠান্ডা’ জাতের। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে এই ফল। তা ছাড়া যাঁদের সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা, সাইনাস, অ্যাজ়মার সমস্যা রয়েছে, সূর্য ডোবার পর তাঁদের কলা না খাওয়াই উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন